shono
Advertisement

‘আপনার সমর্থনে ভরসা পেলাম’, প্রতীচী জমি বিতর্ক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা চিঠি অমর্ত্য সেনের

পাশে দাঁড়ানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।
Posted: 03:01 PM Dec 28, 2020Updated: 03:23 PM Dec 28, 2020

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: শান্তিনিকেতনে প্রতীচীর জমি বিতর্ক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর শোরগোল। তাতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তারই চিঠির পালটা জবাব দিলেন অর্মত্য সেন। ‘আপনার সমর্থনে ভরসা পেলাম’ মুখ্যমন্ত্রীকে একথা জানালেন তিনি।

Advertisement

সোমবারই বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক সেদিনই প্রতীচী বিতর্ক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। তিনি লেখেন, “চিঠিতে আপনার সমর্থনের কথা জানতে পেরে আমি খুব খুশি। এটা শুধু আমাকে স্পর্শ করেনি, আমাকে আশ্বস্ত করেছে। আপনার ব্যস্ত জীবনের মধ্যেও আক্রান্ত মানুষের জন্য আপনি সময় বের করেছেন। আপনার শক্তিশালী কণ্ঠ, যা ঘটছে তা নিয়ে আপনার উপলব্ধি আমার কাছে শক্তির উৎসস্বরূপ।” বিশ্বভারতীর জমি বিতর্কে পাশে দাঁড়ানোর জন্য এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীকে ‘বোন’ এবং ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।

[আরও পড়ুন: ‘দেউচা পাচামি কয়লা উত্তোলন প্রকল্পে ১ লক্ষ নিয়োগ হবে’, ফের কর্মসংস্থানের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর]

সম্প্রতি অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ি ‘প্রতীচী’ নিয়ে বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University) কর্তৃপক্ষ অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে, ওই বাড়ির খানিকটা অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি। অমর্ত্য সেনের পরিবার বেআইনিভাবে তা দখল করে বাড়ি বানিয়েছে। যদিও বিশ্বভারতীর এই অভিযোগের নেপথ্যে তাদের নিজেদেরই দুর্বলতা রয়েছে। সম্প্রতি পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল তোলা নিয়ে বিতর্কের সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতীর বহু জমিই নিজেদের নামে রেকর্ড নেই। লিজ দেওয়ার পর বহু বহু বছর ধরে সেখানে যাঁদের বসবাস, ভূমি দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, তাঁদের নামেই রেজিস্টার্ড।

এবার এই জমিগুলি পুনরুদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কর্তৃপক্ষ। যার সূত্র ধরেই ‘প্রতীচী’তে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ”উনি আদর্শগত ভাবে বিজেপি বিরোধী বলে এমন চক্রান্ত চলছে। এটা নিন্দনীয়। অমর্ত্য সেনের অপমান মানে বাংলার অপমান। তা মেনে নেওয়া হবে না।” শুক্রবারও চিঠিতে আকারে ইঙ্গিতে সে কথাই বুঝিয়েছিলেন তিনি। সোমবার সেই চিঠিরই পালটা জবাব দিলেন অমর্ত্য সেন।

[আরও পড়ুন: জাতিগত শংসাপত্র প্রদানের পদ্ধতিতে সরলীকরণ, জানেনই না সরকারি অফিসার! চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ মমতা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার