সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়সড় ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে অ্যামাজন (Amazon) ও বাইজুস (Byjus)। উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের (Consumer Affairs) তরফে বেশকিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে এই দুই সংস্থার বিরুদ্ধে। তার ফলে ধাক্কা খেতে চলেছে দুই সংস্থার বিজ্ঞাপন। এমনকি নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের বিক্রিও কমতে পারে বলে অনুমান। দপ্তরের মতে, নানাভাবে ঠকানো হচ্ছে ক্রেতাদের। শাস্তিস্বরূপ এই দুই সংস্থার অ্যালগরিদমে রাশ টানতে চলেছে উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তর।
এই দপ্তরের সেক্রেটারি রোহিত কুমার সিং জানিয়েছেন, “অ্যামাজনের তরফে গ্রাহকদের কাছে যেভাবে পণ্যগুলি উপস্থাপন করা হয়, সেই প্রক্রিয়াটি একেবারেই নৈতিক নয়। গ্রাহকদের কাছে নিজেদের সংস্থার পণ্যগুলিই সবার আগে তুলে ধরা হয়। এটা ঠিক নয়। ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে ভারসাম্য থাকা দরকার। কিন্তু অ্যামাজনের ক্ষেত্রে তা থাকছে না।”
[আরও পড়ুন: ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে শাশুড়িকে নিয়ে পালাল জামাই, আদালতের দ্বারস্থ ‘হতভম্ব’ শ্বশুর]
নাম না করে বাইজুসকেও বিঁধেছেন রোহিত। তিনি বলেন, “পড়ুয়াদের উপর অযথা চাপ সৃষ্টি করছে একটি বিখ্যাত এডুটেক সংস্থা। শাহরুখ খানকে দিয়ে বলানো যায় না যে একজনের চেয়ে দু’জন শিক্ষক থাকা অনেক ভাল। তাই একজনের খরচেই দু’জন শিক্ষক পাওয়া যাবে, এমন অবাস্তব বিজ্ঞাপন করা একেবারেই উচিত নয়।” জানা গিয়েছে, সরকারের তরফে কড়া পদক্ষেপ করার আগেই নিজেদের ত্রুটি শুধরে নিতে রাজি হয়েছে বাইজুস।
২০১৯ সালের ক্রেতা সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, বিভ্রান্তকর বিজ্ঞাপন দেখানো হলে কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন উপভোক্তারা। জনস্বার্থে ক্ষতিকর বিজ্ঞাপন বা পণ্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা যেতে পারে। মূলত অনৈতিক বিজ্ঞাপন দেখানো ও নিজেদের পণ্য অনুচিত উপায়ে তুলে ধরার কারণেই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে অ্যামাজন ও বাইজুসের বিরুদ্ধে।