সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরবর্তী দলাই লামা (Dalai Lama) ইস্যুকে কেন্দ্র করে চিনকে (China) একহাত নিল আমেরিকা। জো বাইডেনের প্রশাসনের তরফে সাফ জানানো হল, দলাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় চিনের কোনও ভূমিকা থাকতে পারে না। এবং এবিষয়ে বেজিংয়ের নাক গলানো আসলে ধর্মীয় স্বাধীনতার চরম অবমাননা হিসেবেই গণ্য হবে।
মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইসের কথায়, ”আমরা মনে করছি, দলাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় চিনের প্রশাসনের কোনও ভূমিকা থাকা উচিত নয়।” তিনি দাবি করেন, আজ থেকে ২৫ বছরেরও বেশি সময় আগে পাঞ্চেন লামার উত্তরসূরি নির্বাচনের সময় বেজিং হস্তক্ষেপ করেছিল। সেই সময় পাঞ্চেন লামাকে ছোট বয়সে সরিয়ে সেই স্থানে চিন সরকার নির্বাচিত এক প্রতিনিধিকে স্থলাভিষিক্ত করতে চেয়েছিল। যা ধর্মীয় স্বাধীনতার অবমাননা।
[আরও পড়ুন : বন্দুকের সামনে বুক পেতে দাঁড়ালেন সন্ন্যাসিনী, হৃদয় মোচরানো মায়ানমারের ছবি ভাইরাল]
এদিকে বর্তমান দলাই লামার বয়স ৮৫। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বয়স ৯০ হলে তিনি নিজের উত্তরসূরির বিষয়ে ঘোষণা করবেন। প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সাল থেকে তিব্বত দখল করে চিন। সেই থেকেই ওই এলাকার দখল নিজেদের হাতে রাখতে চেয়েছে বেজিং। কিন্তু পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। সেই কারণেই বারবার হস্তক্ষেপ করেছে তিব্বতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে।
আমেরিকার লক্ষ্য, চিনের এই হস্তক্ষেপের প্রবণতা কমানো। এর আগে প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সেই চুক্তিতে তিব্বতে মার্কিন বাণিজ্য দূতাবাস স্থাপনের কথা বলা হয়েছিল। পাশাপাশি তিব্বতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জোট গড়ার কথাও বলা হয়েছিল। এই চুক্তির উদ্দেশ্যই ছিল, যাতে পরবর্তী দলাই লামা নির্বাচনে চিনব কোনও ভাবেই নাক না গলাতে পারে।