shono
Advertisement

বাদ ভারত, এবার পাকিস্তানের হাত ধরে আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী আমেরিকা

ভারতের কাছে ভৌগলিক ও কৌশলগত কারণে আফগানিস্তানের গুরুত্ব অপরিসীম।
Posted: 10:20 AM Jul 20, 2021Updated: 12:15 PM Jul 20, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্রুত কাবুলের দিকে এগিয়ে আসছে তালিবান (Taliban)। পাহাড়ি দেশটির প্রায় ৩৫০ জেলার মধ্যে অন্তত ১৫০টি দখল করে ফেলেছে জঙ্গি গোষ্ঠীটি বলে দাবি। বেগতিক দেখে কান্দাহার ও হেরাত দূতাবাস থেকে কর্মীদের ফিরিয়ে এনেছে ভারত। এহেন সময়ে নয়াদিল্লিকে বাদ দিয়ে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও উজবেকিস্তানকে নিয়ে নতুন এক আঞ্চলিক শক্তি (কোয়াড গ্রুপ) তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে আমেরিকা (America)।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আমেরিকার উদ্বেগ বাড়িয়ে মাঝসমুদ্রে আছড়ে পড়ল পুতিনের ‘অজেয়’ অস্ত্র Zircon]

আফগান বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, আমেরিকা, পাকিস্তান, উজবেকিস্তান ও আফগানিস্তানের প্রতিনিধিরা মিলে একটি চতুর্দেশীয় (কোয়াড) কূটনৈতিক মঞ্চ তৈরি করার প্রস্তুতি চলছে। চতুর্ভুজ শক্তির মূল লক্ষ্যই হবে, আঞ্চলিকস্তরে নিবিড় সংযোগ স্থাপন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু এই প্রচেষ্টায় ভারতকে বাদ দেওয়া হল কেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ওবামা জমানা থেকে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যথেষ্ট মজবুত হয়েছে। মার্কিন হাতিয়ার কেনা থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে রীতিমতো দহরম মহরম মোদি সরকারের। আর এতে পুরনো বন্ধু রাশিয়ার বিরাগভাজনও হতে হয়েছে নয়াদিল্লিকে। তার পরও বাইডেন প্রশাসন এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে ভারতকে শরিক করেনি। শুক্রবার এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “চতুর্দেশীয় শক্তি গড়তে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। সেখানে বাদ পড়েছে ভারত। এটাই কি তা হলে আমেরিকার সঙ্গে মোদি সরকারের কূটনৈতিক সম্পর্ক?”

উল্লেখ্য, ভারতের কাছে ভৌগলিক ও কৌশলগত কারণে আফগানিস্তানের গুরুত্ব অপরিসীম। সে দেশে পরিকাঠামো নির্মাণে বহু টাকা বিনিয়োগ করেছে নয়াদিল্লি। আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণও দেয় ভারতীয় সেনা। কাবুলে বন্ধু সরকার থাকলে আফগানভূমে নাক গলাতে পারবে না পাকিস্তান। ফলে সেখান থেকে ভারত বিরোধী জঙ্গি কার্যকলাপ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে। একইসঙ্গে কৌশলগত দিক থেকেই পাকিস্তানকে ঘিরে ফেলা সম্ভব হবে। কিন্তু কাবুলে তালিবান ক্ষমতা দখল করলে আফগানিস্তানে ভারতের প্রভাব খর্ব হবে। আল কায়দা, লস্কর-ই-তইবার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির শিকড় আরও ছড়াবে। যা সরাসরি প্রভাব ফেলবে কাশ্মীরে। তাছাড়া, আফগানিস্তানে ক্ষমতা হারালে মধ্য এশিয়ায় ভারতের অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে।

[আরও পড়ুন: ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’, আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি ইজরায়েলী সংস্থার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement