সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘গ্লোবাল জেহাদ’ বা বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর পাকিস্তান (Pakistan)। সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগানিস্তান অভিযানের সময় আমেরিকার টাকায় মুজাহিদ তৈরি করেছিল আইএসআই। তারপর ‘ভারতপন্থী’ মুজাহিদদের শিক্ষা দিতে তালিবান তৈরি করে দেশটি। ৯/১১ পরবর্তী বিশ্বে আফগানভূমে মার্কিন ‘মিত্রজোটে’ নাম লেখালেও গোড়া থেকেই তালিবানকে মদত দিচ্ছে ইসলামাবাদ। তাই এবার পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ‘খতিয়ে দেখার’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: ‘বোরখা পরব না’, তালিবানি ফতোয়া উড়িয়ে নির্ভীক আফগান নারীরা! ‘কলরব’ সোশ্যাল মিডিয়ায়]
মার্কিন কংগ্রেসে দেওয়া এক বিবৃতিতে আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক খতিয়ে দেখবে আমেরিকা। ভবিষ্যতে আফগানিস্তানে ইসলামাবাদকে কোন ভূমিকায় দেখতে চায় ওয়াশিংটন তা ঠিক করা হবে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, তালিবান জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তান। হাক্কানি নেটওয়ার্কের মতো জেহাদি সংগঠনগুলিকে জায়গা দিয়েছে ইসলামাবাদ। কংগ্রেস সদস্যের প্রশ্নের উত্তরে ব্লিঙ্কেন বলেন, “আগামী দিনে পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তা আমরা নজর রাখব। বিগত ২০ বছরে আফগানিস্তানে পাকিস্তানের কী ভূমিকা ছিল, সেটা ছাড়াও আগামী দিনে আমরা কোন ভূমিকায় ইসলামাবাদকে দেখতে চাই সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তানের দু’মুখো নীতি সম্পর্কে জানে আমেরিকা (America)। কংগ্রেসে ব্লিঙ্কেন স্পষ্ট জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে পাকিস্তানের কিছু কাজ আমেরিকার স্বার্থে আঘাত হেনেছে। তবে আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ায় নজরদারি চালাতে এই মুহূর্তে ইসলামাবাদকে প্রয়োজন ওয়াশিংটনের। ফলে ভবিষ্যতে ইমরান খান প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করে নিজের কাজ আদায় করার চেষ্টা করবে বাইডেন প্রশাসন।
উল্লেখ্য, কাবুল দখল করেই পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ঘর বলে জানিয়েছিল তালিবান। সম্প্রতি, সরকার গঠন নিয়ে জেহাদি গোষ্ঠীটির অভ্যন্তরীণ কলহ মেটাতে আইএসআই প্রধান ফইজ হামিদের কাবুল সফল আমেরিকা ও ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। প্রসঙ্গত, ভারত ও আমেরিকার উদ্বেগের পারদ চড়িয়ে চিনেই ভরসা রাখছে তালিবান (Taliban)। এক বিবৃতিতে আফগানিস্তানের উন্নতি সাধনে চিন বড়সড় ভূমিকা নিতে পারে বলে উল্লেখ করেছে তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিন। তাই আপাতত পাকিস্তানকে চাপ দিলেও সম্পর্ক ছিন্ন করবে না আমেরিকা।