shono
Advertisement

ভাতের থালায় লুকিয়ে রহস্য! জঙ্গি আফতাবকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা

আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে কারারক্ষীদের। The post ভাতের থালায় লুকিয়ে রহস্য! জঙ্গি আফতাবকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 09:39 AM Sep 14, 2018Updated: 09:39 AM Sep 14, 2018

অর্ণব আইচ: রুটির আড়ালেই কি মোবাইল ঢুকেছিল আফতাবের সেলে? আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে জঙ্গিনেতা আফতাব আনসারির সেল থেকে মোবাইল উদ্ধারের পর এই সন্দেহ করেছিলেন কারাকর্তারা। প্রেসিডেন্সি জেলে যাতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য দিনে দু’বেলা পরীক্ষা করা হচ্ছে আফতাবের খাবার। সে ভাত হোক বা রুটি। খাবার না দেখা পর্যন্ত স্বস্তি পাচ্ছেন না কারারক্ষীরা।

Advertisement

[রাষ্ট্রপতির সিলমোহর, দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন গগৈ]

এক কারা আধিকারিক জানান, আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের এক নম্বর সেলে কীভাবে আফতাবের সেলে তিনটি মোবাইল ও প্রায় ৩০টি সিম কার্ড ঢুকেছিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। প্রশ্ন ওঠে, যেখানে সারাদিন ও রাতে আফতাবের সেল ঘিরে থাকে রক্ষীদের কড়া নজর, এ ছাড়াও নজরদারি চালানো হয় সিসিটিভির মাধ্যমে, সেখানে এই জঙ্গি নেতার সেলে মোবাইলের মতো নিষিদ্ধ বস্তু ঢুকল কীভাবে? প্রাথমিকভাবে কারা আধিকারিকদের মতে, খাবারের মধে্য করে আফতাবের সেলে মোবাইল ঢোকা সম্ভব। তাই আলিপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে আফতাব আনসারিকে সরানোর পর আর ঝুঁকি নিতে চাইছেন না কারাকর্তারা।

কারা সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘মাওবাদীদের স্লোগান’ শুনেই ঘুম ভাঙছে আফতাব আনসারির। প্রেসিডেন্সি জেলের ১-২২ সেলের মূল বাসিন্দা হচ্ছেন মাওবাদী বন্দিরা। ঝাড়গ্রামের মাওবাদী নেতা ছত্রধর মাহাতো ও আরও কয়েকজন মাওবাদী বন্দির ঘরের দরজা সকাল হলেই খুলে দেওয়া হয়। সেলের সামনে উঠোনে ঘোরাফেরা করেন ছত্রধররা। সকাল থেকেই মাঝেমধ্যে তাঁদের গলায় ওঠে মাওবাদী স্লোগান। সেই স্লোগান কানে যায় আফতাবেরও। কিন্তু তার সেলের বাইরে বের হওয়া নিষিদ্ধ। তার সেলটি ঘিরে তৈরি করা হয়েছে অতিরিক্ত ঘেরাটোপ। সেলের গেটের বাইরে থাকছেন এক রক্ষী। আবার ঘেরাটোপের বাইরে রয়েছে আরও এক রক্ষীর প্রহরা। রাতে দু’ঘণ্টা অন্তর ডিউটি পরিবর্তন হয়। সেই হিসাবে আফতাবের সেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে সারা রাতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে থাকেন দশজন কারারক্ষী। তাঁদের সামনে দিয়েই সেলের মধ্যে প্রবেশ করে আফতাবের খাবার।

জানা গিয়েছে, জেলের ক্যান্টিনে আফতাবের নামে টাকা জমা পড়েছে। সেই অনুযায়ী সে ইচ্ছামতো মধ্যাহ্নভোজন বা নৈশভোজও করতে পারে। আবার অসুস্থ বলে রোগীদের জন্য বরাদ্দ খাবারও দেওয়া হচ্ছে তাকে। দিনে ভাত ও রাতে রুটি ঢুকছে তার সেলে। সাধারণত আফতাবের জন্য খাবার আনার দায়িত্ব দেওয়া হয় কোনও সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে। সেলের মধ্যে আফতাবকে সেই খাবার দেয়। কিন্তু এই খাবারের ক্ষেত্রেও কোনও ঝুঁকি নিতে পারছেন না কারারক্ষীরা। ভাত বা রুটির মধ্যে লুকিয়ে সেলের মধ্যে মোবাইল পাচারের সম্ভাবনা কারাকর্তারাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তাই তার সেলে যাওয়ার আগে রুটি, ভাত ও অন্যান্য খাবার পরীক্ষা করে দেখছেন কারারক্ষীরা। যতবার আফতাবের সেলে খাবার যাচ্ছে, ততবারই করা হচ্ছে পরীক্ষা। একই সঙ্গে পরীক্ষা করা হচ্ছে খাবার সরবরাহকারীকেও। এ ছাড়াও সিসিটিভির মাধ্যমে সেলের মধ্যে আফতাবের প্রত্যেকটি  কার্যকলাপের উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কারাদপ্তর।

[দলের অঞ্চল ও ব্লক সভাপতিকে জেল খাটানোর হুমকি, ফের বিতর্কে অনুব্রত]

The post ভাতের থালায় লুকিয়ে রহস্য! জঙ্গি আফতাবকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার