সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের আমেঠিতে এক শিক্ষক, তাঁর স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তান খুন হন। সেই ঘটনায় শুক্রবার 'খুনি'কে গ্রেপ্তার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। মৃত গৃহবধূ পুনমের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে নিজে জানিয়েছেন ধৃত। পরে সেই সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় এই খুন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম চন্দন বর্মা। নয়ডা টোল প্লাজার কাছে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। অভিযোগ, পুলিশ চন্দনের বন্দুক ও মটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ার পর এক পুলিশকর্মীর বন্দুক নিয়ে সে গুলি চালায়। নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য পালটা গুলি চালায় অন্য এক অফিসার। চন্দনের পায়ে গুলি লাগে। তার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার আমেঠির পুলিশ সুপার অনুপকুমার সিং বলেন, " স্পেশাল টাস্ক ফোর্স অভিযুক্তকে নয়ডার কাছে একটি টোল প্লাজা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃত দিল্লিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে চন্দন জানিয়েছে, মৃত গৃহবধূ পুনমের সঙ্গে প্রায় দেড় বছর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তবে বেশ কিছু দিন ধরে তাঁকে এরিয়ে চলছিলেন মৃতা। তা নিয়ে তাঁদের ঝগড়াও হয়। এর পরই ধৃত মহিলা ও পরিবারকে হত্যা করে। পুলিশ সুপার আরও জানান," চন্দন খুন করার জন্য ১০টি গুলি চালিয়েছে।পরিবারের সকলকে খুন করার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তবে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বেঁচে যান। দ্বিতীয়বার নিজেকে গুলি করার সাহস পাননি। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।"
আমেঠি ভবানি নগরের বাসিন্দা সুনীল কুমার, তাঁর স্ত্রী পুনম ও দুই শিশুকন্যা খুন হন বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরই জানা যায়, মৃতগৃহ বধূ আগেই চন্দনের নামে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন। সঙ্গে জানিয়েছিলেন তাঁর ও পরিবারের কোনও ক্ষতি হলে চন্দন দায়ী থাকবে। সঙ্গে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহেরও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে দুই দুইয়ে চার করতে গেলে সময় লাগেনি পুলিশ কর্তাদের। চন্দনকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করেছে আমেঠি থানার পুলিশ।