নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে যে ক’টি আসনে বিজেপি হেরে গিয়েছিল, আগামী এক বছর ধরে সেই কেন্দ্রগুলিতে জনসভা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। রাজ্যে হেরে যাওয়া ২৪টি কেন্দ্রে একটি করে জনসভায় ভাষণ দেবেন তাঁরা। যার মধ্যে ১২টিতে শাহ ও ১২টিতে নাড্ডা (JP Nadda) হাজির থাকবেন বলেই জানা গিয়েছে।
নতুন বছরের শুরু থেকেই এই কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির এক কেন্দ্রীয় নেতা। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, “ছ’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে এই ২৪টি আসনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যাঁরা নতুন বছর শুরু হলেই কাজে নেমে পড়বেন। বাংলাতে প্রবাস কর্মসূচি করবেন। কেন্দ্রগুলি ঘুরে দেখবেন, পরে ফিরে এসে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন। এক বছরের মধ্যে অমিত শাহজি (Amit Shah) এবং নাড্ডা একডজন করে সভা করবেন সেখানে। এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে গতবার হেরে যাওয়া আসনগুলির জন্য। আগামী লোকসভার প্রস্তুতি কর্মসূচি বলা চলে। তবে ২০২৪ সালের রণনীতি বা প্রচার-কৌশল আলাদা হওয়ার সম্ভাবনা।”
[আরও পড়ুন: রাজ্য পুলিশের আরজি খারিজ, খুনের চেষ্টার মামলায় জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল]
গতবার দেশে হেরে যাওয়া আসনগুলির মধ্যে ৯০টি নিয়ে গত সপ্তাহেই পাটনায় প্রশিক্ষণ শিবিরের পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছে বিজেপি (BJP)। মূল আলোচনার বিষয় ছিল উত্তর-পূর্ব ভারতের হেরে যাওয়া আসনগুলিই। বৈঠকে নাড্ডা ভারচুয়াল মাধ্যমে হাজির ছিলেন। পাটনায় উপস্থিত ছিলেন বাংলার প্রধান পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল, পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডেরা। সেখানে বাংলার হেরে যাওয়া আসনের পাশাপাশি ওড়িশা ও বিহার নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বিহারে নীতীশ (Nitish Kumar) ও লালুর দল এক হতেই চিন্তা বেড়েছে বিজেপির। আবার মহারাষ্ট্রেও বিরোধীরা জোটবদ্ধ। তা নিয়েও চাপে রয়েছে গেরুয়া শিবির। আগে হেরে যাওয়া ১৪৪টি আসনে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছিল। সেই সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে ১৬০টি হয়েছে। বাড়তি ১৬টি আসনের মধ্যে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বিহার ও মহারাষ্ট্রে গতবারে বিজেপির জেতা আসনকেও। চলতি সপ্তাহেই হায়দরাবাদে বাকি ৭০টি আসন নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপি। সেখানে বাকি রাজ্যগুলির পাশাপাশি, মূলত দাক্ষিণাত্যের হেরে যাওয়া আসনগুলি নিয়েই বিশেষভাবে আলোচনা হওয়ার কথা।