shono
Advertisement

‘শীঘ্রই বাংলায় ক্ষমতা দখল করবে BJP’, জাতীয় কর্মসমিতিতে প্রত্যয়ী শাহ

অমিত শাহকে খোঁচা কুণাল ঘোষের।
Posted: 04:13 PM Jul 03, 2022Updated: 07:50 PM Jul 03, 2022

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বিজেপির (BJP) জাতীয় কর্মসমিতিতে উঠে এল বাংলার ক্ষমতা দখলের কথা। বিধানসভা ভোটে মুখ থুবড়ে পড়ার পরেও এরাজ্যে ক্ষমতা দখলের বিষয়ে প্রত্যয়ী শাহ-নাড্ডারা। কর্মসমিতির মঞ্চ থেকে শাহের বার্তা, বিজেপি খুব তাড়াতাড়ি বাংলা এবং তেলেঙ্গানায় ক্ষমতা দখল করবে। একই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এদিকে তাঁদের এই দাবিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “২০২০-২০২১ সালে বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করার সময়েও এ কথা ওঁরা বলতেন।”

Advertisement

তেলেঙ্গানায় বিজেপির দু’দিনের জাতীয় কর্মসমিতি চলছে। রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ রাজনৈতিক প্রস্তাব পেশ হয়। সেখানে পরিবারতন্ত্র নিয়ে কংগ্রেসের পাশাপাশি আঞ্চলিক দলগুলিকেও আক্রমণ করার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। পরিবারতন্ত্র নিয়ে কংগ্রেসকে বরাবরই আক্রমণ শানায় বিজেপি। এবার সেই একই কায়দায় আক্রমণ করা হবে আঞ্চলিক দলগুলিকেও। শাহের কথায়, “কংগ্রেস পারিবারিক দল হয়ে গিয়েছে। ভয়ে সভাপতি নির্বাচন করছে না। বাংলা, তেলেঙ্গানাতেও পারিবারিক দলের শাসন চলছে।”

[আরও পড়ুন: গভীররাতে পাঁচিল টপকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়লেন ব্যক্তি! নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন]

গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্যও বেঁধে দেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সেকেন্ড ইন কমান্ড অমিত শাহ। বলেন, বিজেপি খুব তাড়াতাড়ি বাংলা এবং তেলেঙ্গানায় ক্ষমতা দখল করবে। একইসঙ্গে আরও তিন রাজ্য-ওড়িশা, কেরল এবং অন্ধ্রপ্রদেশেও ক্ষমতা দখল করবে বলে আত্মবিশ্বাসী শাহ। রাজনৈতিক প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় আঞ্চলিকবাদ, পরিবারবাদ এবং তোষণ চলছে। এর বিরুদ্ধে উন্নয়নের রাজনীতি করবে গেরুয়া শিবির।

বিজেপিকে পালটা দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “বাংলায় মানুষের সরকার চলছে। পরিবারতন্ত্র নিয়ে কীভাবে প্রশ্ন তুলতে পারে বিজেপি? এ রাজ্যে তো অধিকারী পরিবারের সাইনবোর্ড ঝুলছে। রাজ্যে-রাজ্যেও তো পরিবারতন্ত্র চালায় ওরা।” বাংলা দখল নিয়ে বিজেপিকে তৃণমূলের খোঁচা, “২০১৯ সালে, ২০২০ সালে ডেইলি প্যাসেঞ্জার করার সময়ও এসব স্বপ্ন দেখত।”

কড়া জবাব দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। বলেন, “গত বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব পুরোপুরি এ রাজ্যে ছিল। প্রায় পাড়ায়-পাড়ায় বিজেপি তাদের সাংসদদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও বাংলার মানুষ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ক্ষমতায় এনেছেন। বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন,মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।”

[আরও পড়ুন: ফোনে-হোয়াটসঅ্যাপে জানানো যাবে অভিযোগ, মিলবে সমাধান, ‘বিধায়ককে বলো’ চালু তৃণমূলের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement