সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী বিধানসভায় মূল লড়াই তৃণমূল (TMC) বনাম বিজেপি (BJP), একথা নতুন করে বুঝতে আর কারও বাকি নেই। আর এখানেই দুই শিবিরের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম নিয়ে অনেক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা। প্রথম ক্ষেত্রে জল্পনার প্রশ্নই নেই। ঘাসফুল শিবিরের এক ও অদ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রীর মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। পদ্মশিবিরের এই ব্যক্তিটি কে – আতসকাচ নিয়ে তা খুঁজতে ব্যস্ত অত্যুৎসাহীরা।
তবে বিজেপি নেতৃত্ব কিন্তু এই বিষয়টি বারবারই এড়িয়ে গিয়েছেন। নভেম্বরেও অমিত শাহ (Amit Shah)কলকাতার সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছাড়াই তাঁরা নির্বাচনে লড়বেন। তারপর সব ঠিক হয়ে যাবে। একমাস পর বোলপুর (Bolpur) থেকেও সেই ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন। বললেন, ”দিল্লির কেউ নয়, বাংলার ভূমিপুত্ররাই এ রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন।” তাহলে কি সদ্য যোগদানকারী শুভেন্দু অধিকারী? এতে অমিত শাহর জবাব, ”কারও নাম বলছি না, অনেকেই আছেন।”
[আরও পড়ুন: ‘সূর্যের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে ঝলসে যাবেন’, বিরোধীদের হুঙ্কার অভিষেকের]
মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে চেয়েই ঘাসফুল শিবির বদলে পদ্মে পা রেখেছন শুভেন্দু অধিকারী, এমন গুঞ্জন বহু আগে থেকে শোনা গিয়েছিল। ‘দাদার অনুগামী’দের এ নিয়ে দারুণ উৎসাহ থাকলে তাতে জল ঢেলেছিলেন শুভেন্দু নিজেই। শনিবার অমিত শাহর হাত ধরে বিজেপিতে যোগদানের সময়ে তিনি স্পষ্ট উল্লেখ করেছিলেন যে দলে সাধারণ কর্মীর মতোই কাজ করবেন। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও যেন সেই সুরেই খানিকটা বললেন।
তাঁকে এবং দিল্লির বিজেপি নেতাদের যে রাজ্যের শাসকদল ‘বহিরাগত’ বলে উল্লেখ করেন, এ বিষয়ে সাংবাদিকরা তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অমিত শাহ বলেন, ”দিল্লির নেতারা এখানে এসে মুখ্যমন্ত্রী হবেন না। দিল্লির কাউকে দরকার হবে না। এই যে আমার সঙ্গে এখানকার নেতারা রয়েছেন – মুকুলজি, দিলীপ ঘোষ, স্বপনদা, এঁরা সকলেই এই বাংলার। বাংলার কোনও ভূমিপুত্রই মুখ্যমন্ত্রী হবেন।” এরপরই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে শুভেন্দুর নাম জিজ্ঞাসা করা হয়। তার উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ”অনেকেই আছেন। কারও নাম করতে চাই না। এটা ভোটের সময় ঠিক হতে পারে। সংসদীয় বোর্ড ঠিক করবে, ঠিক হলে নাম ঘোষণা করা হবে।”
[আরও পড়ুন: বোলপুরে অনুব্রতর গড়ে শক্তি প্রদর্শন অমিত শাহর, রোড শো’র পালটায় পথে তৃণমূলও]
তাঁর এই কথা থেকেই স্পষ্ট, শুভেন্দুকে নিয়ে অনুগামীদের যে বিপুল প্রত্যাশা ছিল, তা এখনই পূরণ হচ্ছে না। অন্যদিকে, একুশের ভোটে বিজেপি বাংলার ক্ষমতায় এলে নবান্নে কাকে দেখা যাবে, সেই নাম বেছে ঠিক করতে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল যথেষ্ট সাবধানী। আস্তিনের শেষ তাসটি তাঁরা বের করতে পারেন হয়ত নির্বাচনী ফলাফলের পর।