বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: অমিত শাহর (Amit Shah) পর বাংলায় সংগঠনের হাল দেখে হতাশ বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাও (JP Nadda)। বঙ্গ নেতাদের উপর ভরসা করলে আরও ডুবতে হবে, এমনটাই উপলব্ধি তাঁর। বাংলা সফর শেষ করে তিনি দিল্লি ফিরতেই সংগঠনের রাশ নিজেদের হাতে তুলে নিতে তৎপর হল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
ফেরার পথেই নাড্ডা একান্তে বি এল সন্তোষের সঙ্গে একপ্রস্থ কথা বলেছেন। এবার দলের সেকেন্ড ইন-কমান্ড অমিত শাহর সঙ্গে আলোচনা করবেন নাড্ডা। বঙ্গ বিজেপির শীর্ষনেতাদেরও দিল্লিতে তলব করা হবে বলে সূত্রের খবর। জুলাইয়ে হায়দরাবাদে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের আগেই বাংলার নেতাদের সঙ্গে দিল্লিতে আলোচনায় বসবে শীর্ষনেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: ‘হজরত মহম্মদ আজ বেঁচে থাকলে…’, দেশজুড়ে বিক্ষোভের মাঝেই মুখ খুললেন তসলিমা]
প্রথমে অমিত শাহ। এক মাসের মধ্য়েই জে পি নাড্ডা। সঙ্গী সংগঠনের আরেক শীর্ষনেতা বি এল সন্তোষ। বাংলায় দলের ছন্নছাড়া অবস্থার কারণ অনুসন্ধানে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের দফায় দফায় সফর। কিন্তু অমিত শাহ বা নাড্ডাদের অভিজ্ঞতা মধুর নয় বলেই গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর। মূলত রাজ্যে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতাদের একতরফা সিদ্ধান্ত, পুরনো নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও ঘনিষ্ঠদের প্রাধান্য দেওয়ার জন্যই বাংলায় দলের বেহাল অবস্থা বলে তাঁরা মনে করছেন। তাই দাওয়াই খুঁজতে আগামী সপ্তহেই অমিত শাহ, নাড্ডা ও বি এল সন্তোষরা আলোচনা করবেন। তারপরে তা বাতলে দিতে বঙ্গ নেতাদের ডাক পড়বে।
শোনা যাচ্ছে, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী ও পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যকে তলব করা হবে। বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, ধর্মেন্দ্র প্রধান ও ইউ পি সিং থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। শাহ ও নাড্ডার সফরে দিলীপ ঘোষ থাকলেও রাজ্য পার্টির একাধিক নেতা গরহাজির ছিলেন। কেন তাঁরা দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন না, কীভাবে তাঁদের দলের কাজে লাগানো যেতে পারে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে কী আশা করেন, এই সব বিষয় নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে। জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের আগেই এই আলোচনা সেরে নিতে চাইছেন নাড্ডা ও শাহরা।