রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে নয়, অষ্টমীর দিন কলকাতায় আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। অন্তত তেমনই ইঙ্গিত মিলল মিলল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়। পুজোতে অমিত শাহ কি আসছেন, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শনিবার সুকান্ত জানান, “এখনও সময় পাইনি। অষ্টমীতে আনার চেষ্টা করছি।”
দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2022) উদ্বোধন করতে অমিত শাহ বাংলায় আসতে পারেন, গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্য বিজেপির অন্দরে এমন খবর শোনা যাচ্ছিল। রাজ্য বিজেপিও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শাহকে আনার জন্য। সল্টলেকে ইজেডসিসিতে বিজেপির পুজো ছাড়াও সল্টলেকের আরেকটি পুজো ও সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্বোধনের কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কিন্তু উদ্বোধন যে অনিশ্চিত তা এদিন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে কিছুটা হতাশ দলের কর্মীরা। বিশেষ করে এই তিন পুজোর উদ্যোক্তারা। তবে সুকান্তর দাবি অনুযায়ী পুজোর মধ্যেই অষ্টমীর দিন আসবেন অমিত শাহ। দিতে পারেন অঞ্জলিও।
[আরও পড়ুন: বহু TMC বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগ রাখছেন, নিজের দাবিতে অনড় মিঠুন চক্রবর্তী]
তবে সুকান্তর কথায় স্পষ্ট, একান্তই যদি অষ্টমীতে নাও হয়, তাহলে নবমী-দশমীতেও শাহ রাজ্যে এলে কিছুটা সন্তুষ্ট হবেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। সেক্ষেত্রে তিনটি পুজোর উদ্বোধন মিঠুন চক্রবর্তীকে দিয়ে করানো হতে পারে। বিজেপির একাংশ যেমন মনে করছে, পুজোতে অমিত শাহ বাংলায় এলে তা দলের কাছে প্রচারের হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। দলের আরেকাংশ আবার মনে করছে, পুজোর সময় দিল্লির নেতারা এলে বাঙালি আবেগকে আদৌ কি ছোঁয়া যাবে? ‘বহিরাগত’ রাজনীতির অভিযোগও উঠতে পারে।
এদিকে, শনিবার হেস্টিংসের পার্টি অফিসে সাংগঠনিক বৈঠকে কলকাতার তিন জেলার নেতৃত্বের সঙ্গে সরাসরি এবার সংগঠনিক আলোচনা করেন বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মিঠুন চক্রবর্তী। বুথস্তরে দলের সংগঠনের বেহাল চিত্র ও নেতদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের ছবিটি মিঠুনের সামনেই বৈঠকে নেতৃত্বের বক্তব্যের মধ্যে উঠে আসে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠার পর মূলত এই মুহূর্তে সংগঠনের অভ্যন্তরে কোন কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তা জানতে চান মিঠুন। প্রশ্নের উত্তরেই অনেক কর্মী দাবি করেছেন শক্তি কেন্দ্র স্তরে পৌঁছতে অপারগ হচ্ছেন। মূল বিষয় সমন্বয়ের অভাব এবং গোষ্ঠী কোন্দল, এটাও উঠে এসেছে বৈঠকে আলোচনার মধ্যে দিয়ে। দলীয় সূত্রে এমনটাই খবর।
[আরও পড়ুন: অনলাইন গেমে কোটি কোটি টাকা ‘প্রতারণা’, গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেপ্তার গার্ডেনরিচের আমির খান]
এসব শুনে সমন্বয়ের বার্তা দিয়েছেন মিঠুন। তিনি জানিয়েছেন, সমন্বয় সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে আগামী দিনে তা শাসক দলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমস্যা হতে পারে। তাই অবিলম্বে দলীয় নেতৃত্বকে সমন্বয় তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বৈঠকে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা কে তুলে ধরে নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন মিঠুন। এদিকে, দলের এক রাজ্য নেতার কথায়, বুথের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মিঠুনকে। এখন তিনি বৈঠক করে বুঝতে পারছেন যে নিচুস্তরে দলের সংগঠনের বেহাল অবস্থার ছবিটা।