রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: নতুন বছরে পিছিয়ে গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) বাংলা সফর। জানুয়ারি মাসের ১৯, ২০ তারিখ তিনি বঙ্গে আসতে পারেন বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু ওই দিন নয়, তাঁর সম্ভাব্য সফরসূচি আগামী ৩০ জানুয়ারি। বিজেপি সূত্রে খবর এমনই। তবে যেদিনই আসুন অমিত শাহ, এবার তাঁর জনসভা হবে বনগাঁয়, মতুয়া মহলে। এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে দলীয় সূত্রে। সেখানে সম্ভবত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে মতুয়াদের আশ্বস্ত করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ফলে নিজেদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে তাঁর সভার দিকে এখন তাকিয়ে মতুয়া ও উদ্বাস্তু সম্প্রদায়।
একুশে বাংলা দখলে গেরুয়া শিবিরের বিশেষ নজর মতুয়া মহলে। কারণ, গত লোকসভা ভোটে মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ, রানাঘাট থেকে নিজেদের জনপ্রতিনিধি পেয়েছে বিজেপি। বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর তো মতুয়া প্রতিনিধিই। ফলে তাঁদের মধ্যে বিজেপির জনপ্রিয়তা যে বেশ ভাল, তা টের পেয়ে গড় রক্ষা করতে মরিয়া গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। বিধানসভা ভোটেও তারই প্রতিফলন দেখতে চান দিল্লির নেতারা। তার উপর CAA পাশ করিয়ে মতুয়া মহলকে আরও কাছে টানতে পেরেছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল। কিন্তু সেই আইন প্রণয়নে দেরি হওয়ায় ক্ষোভও তৈরি হচ্ছে মতুয়াদের মধ্যে।
[আরও পড়ুন: কতদিন স্থায়ী হবে শীতের দুর্দান্ত ইনিংস? জেনে নিন হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস]
এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছেই একাধিকবার নালিশ জানিয়েছেন বনগাঁর (Bongaon) সাংসদ তথা মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর। দ্রুত CAA কার্যকর করার জন্য মতুয়া মহলে যে চাপ তৈরি হচ্ছে, তাও তিনি বুঝিয়ে দেন শীর্ষ নেতৃত্বকে। এ নিয়ে দলের সঙ্গে সামান্য মনোমালিন্য তৈরি হলেও পরে তা মিটে যায়। শান্তনুর আবেদন মেনে বনগাঁয় গিয়ে অমিত শাহ নিজে জনসভা করতে রাজি হন। লক্ষ্য একটাই, মতুয়া মহলে বিজেপির জনপ্রিয়তা অটুট রাখা।
[আরও পড়ুন: বিধায়কের ছবি ব্যবহার করে তৈরি ব্লু ফিল্ম! বিস্ফোরক অভিযোগ উদয়ন গুহর]
সেইমতো, ৩০ জানুয়ারি অমিত শাহ এলে ঠাকুরনগরে শান্তনু ঠাকুরকে সঙ্গে নিয়েই সভা করবেন বলে খবর। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে, টিকাকরণ কর্মসূচি মিটলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করার কথা আগেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন। এবারের সভায় হয়ত এ নিয়ে কেন্দ্রের ভাবনা বিশদে জানাতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।