সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাড়ে চার বছর আগে পাশ হওয়া নাগরিত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হল লোকসভা ভোটের ঠিক আগে। স্বভাবতই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, নির্বাচনের আগে বিভাজনের রাজনীতিতে শান দিল গেরুয়া শিবির। হিন্দুদের বোঝানো হল সরকার পাশে আছে, মুসলিমদের আরও কোণঠাসা করার বার্তা। যদিও সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর দাবি, CAA মুসলিম বিরোধী নয়। বিরোধীরা মিথ্যে বলছেন।
সংবাদমাধ্যম্যের সঙ্গে আলাপচারিতায় শাহ বলেন, ‘বিভিন্ন প্লাটফর্মে কমপক্ষে ৪১বার CAA নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছি। জানিয়েছে যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভয়ের কিছু নেই। কারণ এই আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার মতো কিছু নেই।’ তিনি জানান, এই আইনের লক্ষ্য হল নির্যাতিত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদান করা। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্শি এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী, যাঁরা ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের আগে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছেন।
[আরও পড়ুন: ‘টাকা নেই, ভোটে লড়ব কীভাবে’, বলছেন আয়কর হানায় জেরবার কংগ্রেস সভাপতি]
শাহ জানান, দেশের আইন অনুযায়ী মুসলিমরাও নাগরিকত্বের আবেদন জানাতে পারেন। কিন্তু এই আইন ওই তিনটি দেশে নির্যাতিত সংখ্যলঘুদের জন্য কেবল। সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, দেশজুড়ে CAA-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হলে সরকার কি আরও একবার ভাববে? আত্মবিশ্বাসী শাহের দাবি, CAA কখনই ফেরানো হবে না।
[আরও পড়ুন: রাজ্যপালের মুখেও ‘মোদিজি কি গ্যারান্টি’! ‘বিজেপির লোক’ খোঁচা তৃণমূলের]
একাধিক কংগ্রেস নেতা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দল ক্ষমতায় এলে এই আইন তুলে নেবেন তাঁরা। শাহর মন্তব্য, ইন্ডিয়া জোটের নেতারাও ভালো মতোই জানেন, তাঁরা ক্ষমতায় আসবেন না। CAA এনেছে বিজেপি, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। এটা বাতিল করা অসম্ভব।