সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আব কি বার চারশো পার।’ এমনই স্লোগান তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই ট্রেন্ড অন্য কথা বলতে শুরু করে। ক্রমশই পরিষ্কার হয়ে যায়, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে যে গেরুয়া ঝড় দেখা গিয়েছিল তা এবার অনেকটাই ফিকে। কার্যতই যেন মোদি হাওয়া গায়েব! একথা ঠিকই, ইন্ডিয়ার সঙ্গে জোর টক্করে গিয়েও যে এনডিএ এগিয়ে থাকতে পারল তার পিছনে ফ্যাক্টর সেই ‘মোদি ম্যাজিক’ই। তবু একথা মানতেই হবে, ‘ব্র্যান্ড মোদি’ জোর ধাক্কা খেয়েছে। আর দেশে ভোটের গণনার ফলাফলে যখন এমন ট্রেন্ড, ঠিক তখনই যেন সোশাল মিডিয়া বোমা ফাটালেন অমিতাভ! অন্তত, নিন্দুকরা কিন্তু তেমনই মনে করছেন।
ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক বরং। সিনেমার পাশাপাশি রাজনীতিতেও অমিতাভের সমান যাওয়া আসা। গত আশি বছরে বহু লোকসভা তাঁর নজরে এসেছে। আটের দশকে কংগ্রেসের হয়ে ভোটেও দাঁড়িয়ে ছিলেন অমিতাভ। এমনকী, তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী জয়া বচ্চন সমাজবাদী পার্টির সাংসদও। তবে দিল্লির মসনদে গেরুয়া শিবিরের বাড়বাড়ন্ত বেড়ে যাওয়ার পর অমিতাভও কিছুটা হলেও ঝুঁকে ছিলেন গেরুয়া শিবিরের দিকে। আর তাই মোদির ডাকে সারা দিয়ে রামমন্দির উদ্বোধন থেকে শুরু করে যে কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে হাজির হতেন বিগবি। কিছুটা যেন বাধ্যই হয়েছেন।
[আরও পড়ুন: রাজনীতির ‘নেপোকিড’ কুপোকাত, ‘সেনার মতো মান্ডিকে রক্ষা করব’, জিতেই প্রতিজ্ঞা ‘ক্যুইন’ কঙ্গনার]
অনেকে মনে, গোটা দেশে মোদি হাওয়ার জোর কমায়, অমিতাভের জয় শ্রীরাম পোস্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। অনেকের মতে অমিতাভের এই পোস্ট একেবারে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে। তবে বিগবি এই পোস্টে সরাসরি রাজনীতির কোনও ইঙ্গিত দেননি। বরং, শ্রীরাম জন্মভূমির বিশ্বজোড়া প্রচারকেই সামনে তুলে আনতে এই পোস্ট করেন। যেখানে দুবাই থেকে লন্ডন, গোটা বিশ্বে ঠিক কোথায় কোথায় রাম জন্মভূমির এই প্রচার চলেছে, তারই ক্লিপিং তিনি শেয়ার করেছেন।
[আরও পড়ুন: যাদবপুর নিজের সায়নীকেই চাইল, ‘সৃজন’শীল লড়াই করেও ‘থার্ড বয়’ বামেরা]