দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: পূর্ণিমার কোটালে সবথেকে বেশি জল বাড়ে দ্বিতীয়াতে। রবিবার সেই ভরা কোটাল। আর এই ভরা কোটালের আশঙ্কায় সুন্দরবন। কারণ বহু বাঁধ এখনও সম্পূর্ণভাবে মরামতি করা সম্ভব হয়নি। আর ইতিমধ্যেই কোটাল শুরু হতেই জল ঢুকতে শুরু করেছে সুন্দরবনের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাতে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করেও রক্ষা করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
সেচ দপ্তর সূত্রে খবর, সুন্দরবন এলাকার বিপর্যস্ত নদীবাঁধ অস্থায়ীভাবে মেরামত করা হয়েছে আমফান পরবর্তী পর্যায়ে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হল গোসাবা ,বাসন্তী, কুলতলি ,সাগর ,পাথরপ্রতিমা ,নামখানা ও কাকদ্বীপ। পাথরপ্রতিমার মোট ১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪ টি পঞ্চায়েত এলাকাতেই বাঁধ ভেঙে নদী ও সমুদ্রের নোনা জল ঢুকে প্লাবিত করেছে কৃষিজমি। আমফান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাতে জল ঢুকেছে এদিনও।
বিশেষ করে পাথরপ্রতিমার ব্রজবল্লভপুরের গোবিন্দপুর আবাদ , আদিবাসীপাড়া, গোপালনগরের নারায়ণীতলা, জিপ্লটের কৃষ্ণদাসপুর, ও ইন্দ্রপুর, সাগরের বোর্ড খালি, ঘোড়ামারা ও মৌসুনী দ্বীপ এবং কুলতলি, মইপিট, কৈখালি-সহ বিভিন্ন এলাকাতে শনিবারের দুপুরের জোয়ারে কমবেশি জল ঢোকার খবর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার ওই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকারগুলির বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
[আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত উত্তমকুমারের স্মৃতিবিজড়িত মিষ্টির দোকান, মন খারাপ বারাসতবাসীর]
এ বিষয়ে সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা বলেন ,”শনিবার রাত্রে ও রবিবার দুপুরে সবথেকে বড় কোটাল। জোয়ারের জল বাড়ছে মারাত্মকভাবে। ৫.৯ মিটার পর্যন্ত জল উঠতে পারে। ফলে চিন্তা থেকে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে যে সমস্ত এলাকায় নতুন করে জল ঢুকেছে সেগুলোর বাঁধ মেরামতি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে গোসাবার বিডিও সৌরভ মিত্র বলেন, “বিভিন্ন এলাকার নদীবাঁধ খুব খারাপ অবস্থাতেই আছে। জল যদি আরও বাড়ে পরিস্থিতি কি দাঁড়াবে তা বুঝতে পারছিনা। বিভিন্ন এলাকার মানুষকে সতর্ক করে রাখা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তরপাড়ায় ব্যাংক ডাকাতির কিনারা, পুলিশের জালে মাস্টারমাইন্ড-সহ চার]
The post আমফান কেড়েছে নদীবাঁধ, কোটালের আগে ফের প্লাবনের আশঙ্কায় কাঁটা সুন্দরবন appeared first on Sangbad Pratidin.