দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: বাড়িতে কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল রাজ্যের আরও এক করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত বৃদ্ধার। দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা। মর্মান্তিক ঘটনাটি হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়ার। দীর্ঘদিন ধরেই কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন বৃদ্ধার ছেলে-বউমা। করোনা তাঁদের মধ্যে দূরত্ব এতটাই বাড়াল যে মাকে শেষ দেখাও দেখতে পেলেন না যুবক।
জানা গিয়েছে, হুগলির চুঁচুড়ার বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা। দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িতে একা থাকেন তিনি। কিছুদিন ধরেই অসুস্থ বৃদ্ধা। করোনা পরীক্ষা করতেই জানা যায় তিনি পজিটিভ। ফলে ঘরবন্দি হয়ে পড়েন তিনি। অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত তাঁর ছেলে-বউমাও। ফলে তাঁরাও বন্দি। কোভিড বিধি মেনে দূর থেকে মাকে দেখতে আসার ইচ্ছে থাকলেও কোনওভাবেই তা সম্ভব নয়। তবে যোগাযোগ ছিল ফোনে। নিয়মিত কথা হত তাঁদের। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একাধিকবার মাকে ফোন করলেও তিনি ফোন তোলেননি। আত্মীয়রাও ফোনে পাননি। স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ফোন করলেই পাড়ায় মিলবে অক্সিজেন, করোনা মোকাবিলায় জেলায় তৈরি হচ্ছে ফিল্ড হাসপাতাল]
এরপরই বুদ্ধি করে চুঁচুড়ার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় যোগাযোগ করেন বৃদ্ধার ছেলে। তড়িঘড়ি সংস্থার তরফে কয়েকজন পৌঁছে যান বৃদ্ধার ঠিকানায়। ডাকাডাকি করলেও সাড়া মেলেনি। এদিকে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করা ছিল। তবে জানলা থেকে তাঁরা দেখেন বিছানায় কাতরাচ্ছেন বৃদ্ধা। সঙ্গে সঙ্গে তা জানানো হয় ছেলেক। এরপর দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় বৃদ্ধাকে। তবে সংস্থার সদস্যরা ঘরে প্রবেশ করার আগেই মেঝেতে পড়ে যান বৃদ্ধা। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ইমামবাড়া হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।