অর্ণব আইচ: ফ্ল্যাট কেনাবেচার ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে গোলমাল। শেষ পর্যন্ত ফ্ল্যাট দখল করতে বৃদ্ধকে খুন করে নিজেই অসুস্থ সেজে ভরতি হয়ে যায় ‘বান্ধবী’। যদিও শেষ পর্যন্ত পুলিশের জেরায় ভেঙে পড়ে সে। একবালপুরে বৃদ্ধ ‘বন্ধু’কে খুনের অভিযোগে প্রথমে শেইখ সরবরি নামে ওই যুবতীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করে তার দুই সঙ্গী মহম্মদ তারিক ওরফে শাহবাজ ও কালু দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে, গত মাসে রাজাবাগানে চোর সন্দেহে মুবারক শেখ নামে এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রবীন্দ্রনগরের মেহতাব আলি মোল্লাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি একবালপুরের বাড়ি থেকে ডি মারিয়ান নামে এক বৃদ্ধর পচাগলা দেহ পুলিশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তে জানা যায়, গলা টিপে ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে যে, তাঁর সঙ্গিনী সরবরি একবালপুরের একটি নার্সিংহোমে অসুস্থ হয়ে ভরতি রয়েছেন। কিন্তু তাঁর উপরই পুলিশের সন্দেহ হয়। কথা বলার মতো অবস্থায় এলে শনিবার সরবরিকে টানা জেরা শুরু করে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত জেরায় ভেঙে পড়ে ওই মহিলা স্বীকার করে যে, তার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল বৃদ্ধ মারিয়ানের। সরবরি তারই জেরে মারিয়ানকে ১৫ লক্ষ টাকা আগাম দিয়ে তাঁর ফ্ল্যাটটি কিনে নেবে বলে। কিন্তু মারিয়ান সরবরির নামে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করেনি। তারা টাকাও ফেরত দেয়নি।
[আরও পড়ুন: মালিকের ১৬ লাখ হাতিয়ে উল্লাস, সুন্দরীদের সামনে টাকা ওড়াতে গিয়েই জালে কর্মচারী]
শেষে ফ্ল্যাট দখল করার উদ্দেশ্য নিয়েই কয়েকদিন আগে মারিয়ানের ফ্ল্যাটে যায় সরবরি। দু’জনে ঘনিষ্ঠও হয়। ওই সময়ই সে এসে খুলে দেয় ফ্ল্যাটের দরজা। সরবরির দুই সঙ্গী তারিক ও কালু ঢুকে মারিয়ানের গলা টিপে তাঁকে খুন করে পালায়। নিজের দোষ ঢাকতে নার্সিংহোমে অসুস্থ সেজে ভরতি হয় সরবরি। বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় মারিয়ানের পচাগলা দেহ। ধৃতদের জেরা করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।