অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: সুপারি চুরি করতে দেখে ফেলেছিলেন। স্রেফ সেই অপরাধে প্রাণ গেল হাওড়ার (Howrah) বৃদ্ধার। মঙ্গলবার সকালে কুয়ো থেকে উদ্ধার হল তাঁর গলা কাটা দেহ। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
হাওড়ার ডোমজুড়ের খাটোরা গ্রামের বাসিন্দা গীতারানি সাউ। বয়স প্রায় ৬৬ বছর। জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে গরুর জন্য ঘাস কাটতে বেরিয়ে ছিলেন তিনি। এরপর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি তাঁর। সন্ধে হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় বৃদ্ধার খোঁজ করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে মঙ্গলবার সকালে কুয়োয় নজর পড়তেই বাড়ির লোকেরা দেখতে পান, পড়ে রয়েছে বৃদ্ধার দেহ। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
[আরও পড়ুন: ভোটের মুখে সামশেরগঞ্জের বিজেপি শিবিরে ভাঙন, তৃণমূলে যোগ দিলেন মণ্ডল সভাপতি-সহ বহু]
ডোমজুড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারনা, গলার নলি কেটে খুন করা হয়েছে বৃদ্ধাকে। কিন্তু কী কারণে খুন? বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে কয়েকজন যুবক সুপারি চুরি করতে ঢুকেছিলেন তাঁদের বাড়িতে। বৃদ্ধা তা দেখে ফেলেছিলেন। সেই কারণেই খুন বলে অনুমান করা হয়ছে। খুনের পর বৃদ্ধার দেহটি ফেলে দেওয়ার পর নারকেল গাছের পাতা দিয়ে কুয়োটি ঢেকে দিয়েছিল অভিযুক্তরা।
যদিও খুনের কারণ নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। আদৌ সুপারি চুরি দেখে ফেলার জেরেই বৃদ্ধার এই পরিণতি নাকি নেপথ্যে লুকিয়ে অন্য কোনও রহস্য, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।