অরূপ বসাক, মালবাজার: বাড়িতে মাঝেমধ্যেই হানা দেয় হাতি (Elephant)। নষ্ট করে নানা জিনিসপত্র। তাই হাতিহানা যে কোনও শর্তে রুখতে হবে। সে কারণে বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল বাড়ি। তবে অবলা প্রাণীটা বোঝেনি যে তার আসাযাওয়া রুখতে কী মারণফাঁদই না পেতে রেখেছেন গৃহস্থ। তাই তো কিছু না বুঝেই খেয়ালের বশে বাড়ির ভিতরে ঢুকতে যায় সে। আর তাতেই বিপত্তি। প্রাণ দিয়ে সেই খেয়ালের দাম মেটাল হাতি। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল তার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মালবাজারের নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙা চা বাগানের খেরকাটায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হাতির মৃত্যুর তদন্ত করে ওই গৃহস্থের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার আশ্বাস বনদপ্তরের।
শনিবার সকালে মালবাজারের (Malbazar) নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙা চা বাগানের খেরকাটায় মফিজুল হক নামে এক ব্যক্তির সুপারি বাগানে ওই মাকনা হাতির দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর দেওয়া হয় খবর পেয়ে খেরকাটা বিট, খুনিয়া রেঞ্জ ও নাগরাকাটা থানায়। পুলিশ খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। হাতির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, যেখান থেকে হাতির মরদেহটি পাওয়া গিয়েছে ওই বাড়ির চারপাশ বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘেরা ছিল। কোনওভাবে ওই বাড়িতে ঢুকতে গিয়েই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় হাতিটি। তার ফলেই মৃত্যু হয়েছে তার। ওই বাড়ির মালিকের খোঁজখবর শুরু হয়েছে। কেন তিনি বাড়ি বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘিরে রেখেছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে দোষ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানিয়েছে বনদপ্তর।
[আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে পুলিশের ‘মার’ খাওয়া কর্মীদের সংবর্ধনা দেবে বিজেপি যুব মোর্চা, ঘোষণা সৌমিত্রর]
তবে এই প্রথমবার নয়। এর আগেও বামনডাঙা চা বাগানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আরেকটি হাতির মৃত্যু হয়। শনিবার সকালে ঠিক একইভাবে মৃত্যু হল আরেকটির। বারবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতির মৃত্যুর ঘটনায় বিরক্ত পশুপ্রেমীরা। অভিযুক্তর শাস্তির দাবিতে সরব তাঁরা।