সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জলই জীবন! সুস্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত জলপানের কথা বলে থাকেন চিকিৎসকরা। অথচ বেশি করে জলপান করার ফলেই মৃত্যু হয়েছিল মার্শাল আর্টসে (Marshal Arts) কিংবদন্তি তথা এককালের বিখ্যাত অভিনেতা ব্রুস লি-র (Bruce Lee)! সম্প্রতি বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ ঘেঁটে এমনটা দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু জল খাওয়ার ফলে কি মানুষের মৃত্যু হতে পারে? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান?
১৯৭৩ সালে মাত্র ৩২ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছিল ব্রুস লি-র। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ সম্বন্ধে লেখা হয়েছিল, পেন কিলার বা ব্যথা কমানোর ওষুধ খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় এন্টার দ্য ড্রাগনের (Enter The Dragon) অভিনেতার। শেষ পর্যন্ত এর ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে অন্য চাঞ্চল্যকর খবর। একাধিক তথ্যপ্রমাণ ঘেঁটে একদল বিজ্ঞানীর মনে হয়েছে, কিংবদন্তির মৃত্যুর কারণ হতে পারে ‘হাইপোনেট্রিমিয়া’ । ‘হাইপোনেট্রিমিয়া’ কী?
[আরও পড়ুন: হিন্দু মেয়ে বলেই শ্রদ্ধাকে খুন! লাভ জিহাদ রুখতে দেশে কঠিন আইন দরকার, মন্তব্য হিমন্তের]
রক্তে সোডিায়ামের মাত্রা কমে যাওয়াগে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘হাইপোনেট্রিমিয়া’ (Hyponatremia)। এর ফলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আর অতিরিক্ত জলপানের ফলে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বিপজ্জনক হারে কমে যেতে পারে। আরও জানা গিয়েছে, চিনারা (Chinese People) বিশ্বাস করেন, জলে সর্বরোগহরক গুণ রয়েছে। এই বিশ্বাস অবশ্য ভূভারতেও রয়েছে। হজমের গোলমাল থেকে শুরু করে বহু রোগ পর্যাপ্ত জলপানে সারতে পারে বলেই মনে করা হয়। ব্রুস লিরও একই বিশ্বাস ছিল-‘বি ওয়াটার, মাই ফ্রেন্ড’ (Be Water My Friend) ।
[আরও পড়ুন: ‘চার তরুণী আমায় অপহরণ করে ধর্ষণ করেছে!’, শ্রমিকের বিস্ফোরক অভিযোগে শোরগোল]
বিজ্ঞানীদের দাবি, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ব্রুস লির প্রাণ কেড়েছিল এই অতিরিক্ত জলপান। এর ফলে কিডনির উপর চাপ পড়ে। ব্রুস লি-র মস্তিষ্কেও সম্ভবত জল জমতে শুরু করেছিল। পরবর্তী কালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল। হতে পারে এভাবেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল, এমনটাই বক্তব্য বিজ্ঞানীদের। জলের মতো স্বচ্ছ জীবনের আদর্শে বিশ্বাসী ব্রুস লির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অবশ্য আজও অন্ধকারে। সবটাই অনুমান।