অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: সৌজন্যের খাতিরে রাজ্য সরকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল কোচবিহারের গ্রেটার নেতা অনন্ত মহারাজকে। বুধবার কাওয়াখালির বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে হাজিরও হন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বসেছিলেন একই মঞ্চে। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হতেই সৌজন্য আর বজায় রইল না। মঞ্চ থেকে নেমেই ফের বাংলা ভাগের দাবিতেও সওয়াল করলেন অনন্ত।
অনন্ত মহারাজ (Ananta Maharaj) বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আমরা আমাদের দাবি থেকে পিছু হটছিনা। আমাদের দাবি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার দু’জনেই জানে। আপনাদের জানতে হবে কোচবিহার কখনই বাংলার অংশ নয়। তাই আমরা তা আলাদা করে দিতে বলেছি। কেন্দ্র রাজিও হয়েছে। কিন্তু রাজ্য হচ্ছে না।”
[আরও পড়ুন: ‘অযোগ্য নেতাদের নেতৃত্ব মানা কঠিন’, সুকান্ত মজুমদারকে বেনজির আক্রমণ সৌমিত্রর]
যদিও তাঁর উপস্থিতিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দেন তিনি কোনওভাবেই বঙ্গভঙ্গ চান না। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “আমি উত্তরবঙ্গকে ভালবাসি। দু’মাস অন্তর উত্তরবঙ্গে আসি। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ নিয়ে বাংলা। উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে সচেষ্ট রাজ্য সরকার। উত্তরবঙ্গে কলেজ, হাসপাতাল হয়েছে। বিশেষভাবে পর্যটনে জোর দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গকে আরও স্বনির্ভর করে তুলতে চাই। আমরা সবাইকে নিয়ে কাজ করি। আমরা সবাই এক আছি বলে শান্তি বজায় রয়েছে। কোনও প্ররোচনা, ভাগাভাগিতে কান দেবেন না। কোনও ভাগাভাগি নয়। বঙ্গভঙ্গ না। বঙ্গ চায় সঙ্গ।”
তারপরেও অনন্ত মহারাজের এহেন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যদিও এপ্রসঙ্গে কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “এটা রাজনীতি করার জায়গা নেই। অনন্ত মহারাজকে মুখ্যমন্ত্রী আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। উনি নিমন্ত্রণ রক্ষা করেছেন। তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। উনিও মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আমি কোনও বিতর্কিত মন্তব্যের উত্তর দিতে চাই না।”