সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এত দিন পর্যন্ত করা হত, খমের সাম্রাজ্যের সোনালি দিনের স্মৃতি নিয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে একমাত্র আঙ্কোর ওয়াট। যোজনবিস্তৃত এই সৌধমন্দির এখন অনেকটাই ধ্বংস হয়ে গেলেও যেটুকু পড়ে রয়েছে, তার টানে কাম্বোডিয়ায় ছুটে আসেন প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক।
এবার কাম্বোডিয়ার পর্যটনশিল্পে এক নয়া মাত্রা যোগ হতে চলল। আঙ্কোর ওয়াট মন্দিরের কাছেই মাটির তলায় খোঁজ মিলল এক শতাব্দীপ্রাচীন শহরের। প্রত্নতত্ত্ববিদদের অনুমান, এই শহরটিও খমের সভ্যতারই অন্তর্গত ছিল।
Advertisement
আঙ্কোর ওয়াট লাগোয়া এই শহরটির খোঁজ পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান প্রত্নতত্ত্ববিদ ডেমিয়ান ইভান্স। ইভান্স জানিয়েছেন, আঙ্কোর ওয়াট লাগোয়া যে গহন জঙ্গল আছে, সেখানে হাঁটতে গেলে মাঝে মাঝেই হোঁচট খেতে হয়। এত দিন মনে করা হত, ওগুলো ভূপ্রকৃতি! কিন্তু তাঁর মনে একটা সন্দেহ থেকেই গিয়েছিল। তাই অবশেষে কোমর বেঁধে পর্যবেক্ষণে নামেন তিনি।
বাকিটা এখন রূপকথার গল্পের মতো! লেজার প্রযুক্তির সাহায্যে ইভান্স মাটির তলা থেকে খুঁজে পেয়েছেন একটা গোটা শহরের অস্তিত্ব। যা প্রায় বর্তমান কাম্বোডিয়ার সমান!
স্বাভাবিক ভাবেই এই প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার নিয়ে ইভান্স রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। তাঁর দাবি, এই শহরটি দ্বাদশ শতকের।
ইভান্স আরও জানিয়েছেন, এত দিন পর্যন্ত মনে করা হত তাই আক্রমণের সম্মুখীন হয়ে খমের সাম্রাজ্যের লোকেরা কাম্বোডিয়া ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু, এই শহরটির আবিষ্কার নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে। তাঁর দাবি, খমের সাম্রাজ্যের লোকেরা কোথাও যায়নি। বরং, জঙ্গলের মধ্যেই তৈরি করে নিয়েছিল নতুন এক শহর।
আপাতত, কী ভাবে এই শহর মাটি খুঁড়ে বের করে আনা যায়, তারই উদ্যোগ চলছে।