সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সভ্যতা আর মানুষের মনের বয়স কি সমান্তরালভাবে বাড়ছে? এই প্রশ্ন তুলে দিল অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) একটি ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা। সেখানে গণধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে আট বছরের ক্লাস থ্রির ছাত্রীকে। তার দেহ ফেলে দেওয়া হয় স্থানীয় খালে। নৃশংস অপরাধে অভিযুক্ত একই স্কুলের ক্লাস সিক্স এবং সেভেনের ৩ ছাত্র। 'অপরাধী'দের দুজনের বয়স ১২, একজনের বয়স ১৩। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় হতবাক পুলিশও। শিশুদের মধ্যে মানসিকতা নিয়ে রাজ্যেজুড়ে শোরগোল শুরু হয়েছে।
ঘটনাটি দক্ষিণের রাজ্যের নানদিয়াল জেলার। রবিবার নাবালিকার বাবা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পুলিশকে তিনি জানান, স্থানীয় পার্কে খেলতে গিয়েছিল মেয়ে, আর ফেরেনি। যদিও মুচুমাররি পার্ক এবং সংলগ্ন এলাকা চষে ফেললেও ৮ বছরের মেয়েটির খোঁজ মেলেনি। এর পর স্নিফার কুকুর দিয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। কুকুরই খালের ধারে পড়ে থাকা লাশের সন্ধান দেয়। যার সূত্র ধরে অভিযুক্ত তিন কিশোর ধরা পড়ে যায়। তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘যুদ্ধ নয়, পৃথিবীকে বুদ্ধ দিয়েছে ভারত’, অস্ট্রিয়া সফরে বিশ্ব শান্তির বার্তা মোদির]
জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে, পার্কে খেলছিল মেয়েটি। তাকে ওরা একসঙ্গে খেলার টোপ দেয়। এর পরই ক্লাস থ্রির ছাত্রীকে নিকটবর্তী জঙ্গলে নিয়ে যায় বয়সে কিছুটা বড় তিন কিশোর। সেখানে ধর্ষণ করার পর অভিভাবকদের বলে দেওয়ার ভয়ে নাবালিকাকে খুন করে। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় তাকে স্থানীয় খালের জলে ফেলে দেয়। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি।