সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেখানে ভূতের ভয়, সেখানে কি কোনও কাজ হয়? কর্মীরা যারপরনাই ত্রস্ত। কাজ প্রায় মাথায় ওঠার জোগাড়। উপায় না দেখে শ্মশানেই বিছানা পেতে ঘুমোচ্ছেন টিডিপি বিধায়ক নিম্মলা রামা নায়ডু।
[ আর্জেন্টিনার হার মানতে না পেরে নদীতে ঝাঁপ কেরলের মেসি-ভক্তের! ]
শ্মশানের পাশেই রাখা ফোল্ডিং খাটিয়া। তাতে বিছানা-বালিশ। সেখানেই জাঁকিয়ে বসে থাকেন বিধায়ক। অদূরে কাজ করেন নির্মাণকর্মীরা। পালাকোল শহরের শ্মশানের অবস্থা বেশ খারাপ। দীর্ঘদিন ধরে সেটির সংস্কার হয়নি। কয়েক দশকে তা প্রায় জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। জলের ব্যবস্থা নেই। বিধায়ক তাই সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন। নির্মাণকর্মীরা কাজ শুরুও করেছিলেন। কিন্তু কেউই ভয়ে কাজে থাকতে চান না। দিনকয়েক আগেই আবার একটা আধপোড়া শব দেখে কর্মীদের তো আত্মারাম খাঁচাছাড়া। বিধায়ক দেখলেন, সদিচ্ছা থাকলেও উপায় নেই। ভূতেই কাজ পণ্ড করে দেবে। ফলত, তিনি নিজেই আগুয়ান হলেন। ঠিক করেছেন, যতদিন না কাজ শেষ হবে, ততদিন শ্মশানেই রাত্রিবাস করবেন তিনি। সেইমতো বিছানা বালিশের বন্দোবস্ত হয়েছে। ছোট খাটিয়ায়, মশার কামড় খেয়ে শ্মশানেই থাকছেন। রাত্রির খাওয়া-দাওয়াও সেখানেই সারছেন তিনি। দিনে কর্মীরা এলে কাজের নির্দেশ দিচ্ছেন, তারপর বাড়ি ফিরছেন। আবার বিকেল হলেই শ্মশানে।
[ প্রেমিক যুগলের প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা, ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে সালিশি বসিয়ে মার ]
এমনিতেই কোনও নির্মাণসংস্থা এই সংস্কারের কাজের বরাত নিতে চাইছিল না। অনেক বলেকয়ে একটি সংস্থাকে রাজি করিয়েছিলেন নায়ডু। তারও কর্মীরা আবার ভূতের ভয়ে পিঠটান দিচ্ছিল। কিন্তু নায়ডু শ্মশানে থাকার পর থেকেই ব্যাপারটির সুরাহা হয়েছে। আগে দিনের বেলায় কাজ করে কর্মীরা সেই যে যেতেন, আর ফিরতেন না কেউই। নায়ডু ওখানে রাত্রিতে ঘুমানোর পরের দিন অন্তত জনা পঞ্চাশ কর্মী ফেরত এসেছেন। এখন কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। এতে তাঁর অসুবিধা হচ্ছে না। জবাবে নায়ডু জানাচ্ছেন, বড্ড মশা। একটা মশারির ব্যবস্থা করতে হবে। পচা গন্ধও বেশ জ্বালাচ্ছে। কিন্তু কী আর করা যাবে, ভোট যে বড় বাড়াই। তাও বেশি দূরে নেই। মানুষের গুড বুকে থাকতে এটুকু কষ্ট তো স্বীকার করতেই হবে।
The post নির্মাণকর্মীদের ভূতের ভয় তাড়াতে শ্মশানেই রাত কাটাচ্ছেন বিধায়ক appeared first on Sangbad Pratidin.