shono
Advertisement

নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের ভাইয়ের উপর ‘হামলা’, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভরতি যুবক।
Posted: 08:35 AM Sep 10, 2022Updated: 09:17 AM Sep 10, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের খুড়তুতো ভাইয়ের উপর হামলার অভিযোগ। হাওড়ার আমতার সারদা গ্রামে নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত হন তিনি। অভিযোগ, ভোজালি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় তাঁকে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই আনিসের ভাই সলমন খানের উপর হামলা চালায় বলেই অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভরতি যুবক। সেখানেই চলছে তাঁর চিকিৎসা।

Advertisement

আনিস খানের খুড়তুতো ভাই সলমন খান আমতার সারদা গ্রামের বাসিন্দা। নিহত ছাত্রনেতা আনিসের বাড়ির প্রায় ১০০ মিটারের মধ্যে তাঁর বাস। অভিযোগ, শনিবার গভীর রাতে সলমন ও তাঁর স্ত্রী বাড়ির বাইরে বেরন। ঠিক সেই সময় তাঁর বাড়িতে কয়েকজন দুষ্কৃতী হানা দেয়। স্ত্রীর সামনেই ভোজালি দিয়ে সলমনকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। চিৎকার করতে থাকেন সলমনের স্ত্রী। এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা। এদিকে, রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সলমন। স্থানীয়রাই তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করেন। উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সলমনকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সলমনের অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক।

[আরও পড়ুন: সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ, বিজেপিকে ‘বড় লুটেরা’ বলে আক্রমণ বামেদের]

অভিযোগ, এর আগেও বেশ কয়েকবার সলমনের বাড়িতে দুষ্কৃতীরা হামলা করেছিল। পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। তা সত্ত্বেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ। নিহত ছাত্রনেতা আনিসের বাড়ির সামনে পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। তা সত্ত্বেও পুলিশ শুক্রবার রাতে সলমনের বাড়িতে অভিযোগ পাওয়ামাত্রই পুলিশ যায়নি বলেই অভিযোগ। পরে আমতা থানায় খবর দেওয়া হয়। এভাবেই কেটে যায় প্রায় ঘন্টাদেড়েক। তারপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। আনিস খানের মৃত্যুরহস্যের এখনও কিনারা হয়নি। তারই মাঝে তাঁর খুড়তুতো ভাইয়ের উপর হামলায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হাওড়ার আমতায় রহস্যমৃত্যু হয় ছাত্রনেতা আনিস খানের। এই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল বঙ্গ রাজনীতি। পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য বাড়িতে যাওয়ার পর মৃত্যু হয় আনিসের। তাতে পুলিশের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সঙ্গে সঙ্গে কনস্টেবল, এসআই-সহ আমতা থানার ৩ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। রাজ্য পুলিশের তরফে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্ত শুরু হয়। যদিও গোড়া থেকেই সিটের তদন্তে আস্থা ছিল না আনিসের পরিবারের। তাঁরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে এই হত্যারহস্যের জট খুলতে আগ্রহী ছিলেন। সেই মর্মে কলকাতা হাই কোর্টে মামলাও হয়। তবে শুনানি শেষে রাজ্য পুলিশের তৈরি সিটেই আস্থা রাখেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

[আরও পড়ুন: কলকাতা বন্দরে হানা গুজরাট এটিএসের, যন্ত্রাংশের আড়ালে ২০০ কোটি টাকার মাদক পাচারের পর্দাফাঁস]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার