মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: সিবিআই তদন্তের দাবিতে প্রাণনাশের হুমকি ফোনের ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ আনিস খানের (Anis Khan) দাদা। আমতা থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন সাবির খান। তাঁর দাবি, ওসি কিঙ্কর মণ্ডলের পরামর্শ মতোই থানায় অভিযোগ দায়েরের সিদ্ধান্ত।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রনেতা আনিস খানকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের পোশাক পরিহিত একজন-সহ মোট চারজন এদিন ছাত্রনেতার বাড়িতে আসে বলেই দাবি। তাই প্রথম থেকেই পুলিশি তদন্তের উপর আস্থা নেই বলেই দাবি আনিসের বাবা সালাম খানের। সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব তাঁরা। আনিসের দাদার বক্তব্য অনুযায়ী, সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় থাকায় তাঁকে ফোনে হুমকি দেওয়া হয়। আনিসের বাবা সালাম এবং তাঁর দাদা সাবিরকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয় বলেই দাবি।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে ব্যাহত মেট্রো পরিষেবা, চূড়ান্ত দুর্ভোগ নিত্যযাত্রীদের]
সেই হুমকি ফোনের পরিপ্রেক্ষিতেই শনিবার আমতা থানার দ্বারস্থ হন আনিসের দাদা সাবির খান। তাঁর দাবি, আমতা থানার ওসি কিঙ্কর মণ্ডলের পরামর্শমতোই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সাবির আরও জানান, ওই হুমকির পরেরদিনই তাঁর কাছে আরও একটি ফোন আসে। ওই ফোনে ক্ষমাও চেয়ে নেওয়া হয়। ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি জানায়, সে বাংলাদেশ থেকে ফোন করেছে। তবে আনিসের দাদার দাবি, সে আদৌ বাংলাদেশের বাসিন্দা কিনা, তা খতিয়ে দেখুক পুলিশ।
এদিকে, ছাত্রনেতা আনিস খানের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। সেই মতো শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ ম্যাজিস্ট্রেট-সহ সিটের প্রতিনিধিরা আমতায় আনিসের বাড়িতে যায়। কবর থেকে দেহ তোলার আরজি জানায়। যদিও সেই আরজি খারিজ করেন আনিসের বাবা, দাদা এবং প্রতিবেশীরা। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত শূন্য হাতে ফিরতে হয় সিটের প্রতিনিধিদের। আনিসের পরিবারের এই পদক্ষেপের জোরাল সমালোচনা করে রাজ্য পুলিশ। তাদের এই আচরণ হাই কোর্ট অবমাননা ছাড়া আর কিছুই নয় বলেই টুইটে দাবি তাদের।
এদিকে, আনিস হত্যাকাণ্ডে ধৃত হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা এবং সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যের ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ আদালতের।