সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কল্পনা চাওলা, সুনীতা উইলিয়ামস ও সাওনা পাণ্ডে এনারা কেউ ভারতীয়, কেউ বা ভারতীয় বংশোদ্ভূত, কিন্তু এঁরা সকলেই দেশকে শ্রেষ্ঠত্ব এনে দিয়েছেন৷ এঁদের পরেও আরও একজন রয়েছেন সেই তালিকায়, অনীতা সেনগুপ্ত৷ নাসার মহাকাশ যান রোভার কিউরিওসিটির মঙ্গলে পাড়ি দেওয়ার পিছনে অন্যতম বড় ভূমিকা রয়েছেন এই প্রবাসী বাঙালির৷ তবে এবার তিনি নয়া ভূমিকায়৷ শীতলতম অবস্থায় পরমাণুর অবস্থা নিয়ে গবেষণা করছেন৷ নাসার কোল্ড অ্যাটমিক ল্যাবরেটরি, যাকে বলা হচ্ছে বিশ্বের শীতলতম স্থান সেখানেই চলছে এই পরীক্ষা৷
[১২ জুনই কিমের সঙ্গে মোলাকাত, সম্ভাবনা উসকে দিলেন ট্রাম্প]
বাবা শ্যামল সেনগুপ্ত পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হলেও অনিতার জন্ম ব্রিটেনে। ২০১২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত চলা পরমাণুর শীতলীকরণ পরীক্ষা তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত৷ এবার সেই প্রোজেক্টকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মহাকাশে। ইন্টারন্যাশনাল স্পেশ স্টেশনে চলবে পরীক্ষাটি৷ কোল্ড অ্যাটমিক ল্যাবরেটরিতে লেজার রশ্মি দিয়ে পরমাণুকে গতিশূন্য করে তাকে শীতল করা হয়। তারপর চলে পরীক্ষাপর্ব৷ নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, মহাশূন্যের তাপমাত্রার ১০ কোটি গুণ কম তাপমাত্রায় পৌঁছে দেওয়া হয় পরমাণুকে। তাঁদের দাবি, এই তাপমাত্রাই ব্রহ্মাণ্ডের সবথেকে শীতল তাপমাত্রা।
[OMG! অপারেশন থিয়েটারে অচেতন রোগীর সামনেই নাচে মত্ত চিকিৎসক!]
প্রসঙ্গত, অনীতা সেনগুপ্ত হলেন আসলে রকেট ও মহাকাশ গবেষক৷ জীবনের শুরুতে তিনি বোয়িং স্পেস অ্যান্ড কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট তৈরি করতেন তিনি৷ গত ২০ বছর ধরে তিনি যুক্ত রয়েছেন মঙ্গল গ্রহ বিষয়ক গবেষণায়৷ পরে তিনি যোগদান করেন নাসায়৷
The post বাঙালি অনীতার নয়া গবেষণাই দিশা দেখাচ্ছে নাসাকে appeared first on Sangbad Pratidin.