সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবার দেখা হচ্ছে জয়িতা-অর্ণবের। ২২ বছর পর। সেদিনের সদ্য যৌবনে পা রাখা ‘প্রিয় বন্ধু’রা বিচ্ছেদের পর কে, কেমন আছে, কেমনই বা কেটেছে মাঝের সময়টা, সেসব গল্প নিয়ে ফিরে আসছে ‘প্রিয় বন্ধু আবার’। সৌজন্যে অবশ্যই সেদিনের মূল কারিগর সংগীতশিল্পী, অভিনেতা অঞ্জন দত্ত (Anjan Dutta)। তাঁর এবং তাঁর ছেলে নীল দত্তর তৈরি নতুন গানে, নতুনভাবে শ্রোতাদের সামনে আসবে ‘প্রিয় বন্ধু আবার’। করোনা আবহে বাড়িতে বসেই এই সিকুয়েল তৈরি করে ফেলেছেন অঞ্জন-নীল।
সালটা ১৯৯৮। অঞ্জন দত্ত এবং জনপ্রিয় বাংলা ব্যান্ড ‘পরশপাথর’ যৌথ উদ্যোগে নির্মিত শ্রুতিনাটক আর গানের জমজমাট মেলবন্ধন – ‘প্রিয় বন্ধু’। শ্রুতিনাটকের দুই প্রধান চরিত্র অর্ণব ও জয়িতার অভিনয়ে ছিলেন অঞ্জন দত্ত এবং বাংলাদেশি শিল্পী নিমা রহমান। কৈশোর পেরনো দুই বন্ধুর চিঠি লেখালেখি, প্রথম প্রেমে পড়া, প্রত্যাখ্যাত হওয়া এবং তার পরবর্তী সময়ে দু’জনের জীবন দু’দিকে বাঁক নেওয়া – এসব নিয়েই তৈরি হয়েছিল চিত্রনাট্য। যার বেশিরভাগটাই ছিল চিঠির মাধ্যমে কথোপকথন। একটি বিদেশি গল্পের অনুপ্রেরণায় নতুন নির্মাণ। আর উভয়ের কথোপকথনের মাঝে সেতুর মতো ছিল ‘পরশপাথর’-এর অসামান্য কয়েকটি গান। যা এত বছর পরও কোনও আবেগমাখা মুহূর্তে হয়ত গুনগুন করে গেয়ে ওঠেন কেউ কেউ।
[আরও পডুন: প্রয়াত তারকাদের স্মরণে, মহালয়ায় ‘হইচই’-এ আসছে ‘তারাদের শেষ তর্পণ’]
স্বপ্নের মায়াজাল বোনা কিংবা নিষ্পলকে রামধনু খোঁজার ভাল লাগা আবার ফিরছে ২২ বছর পর। হাতে চিঠি লেখা আজ অতীত। ইমেল, মেসেঞ্জারের দিনে ভিডিও কলেই আদানপ্রদান চলে। অর্ণব-জয়িতার দেখাও কি সেভাবেই হবে? তার হদিশ দিতে পারে ‘প্রিয় বন্ধু আবার’। সেই ক্যাসেটের যুগও আজ নেই। করোনা কালে মঞ্চও বাদ। তাই অর্ণব-জয়িতার ২২ বছরের পরবর্তী জীবন কাহিনি শোনা যাবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। অঞ্জন দত্ত মনে করেন, সেদিনের ‘প্রিয় বন্ধু’ আজও বাঙালিমনের আবেগ উসকে দিতে পারে। তাই এর সিকুয়েল তৈরির ভাবনা। ৩০ আগস্ট রাত আটটায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে দেখা মিলবে তাঁদের। সঙ্গে নতুন সুরে স্মৃতিরোমন্থন। নয়ের দশকের জনপ্রিয় শ্রুতিনাটকের তুমুল নস্ট্যালজিয়ায় আবারও ভাসবেন সংস্কৃতিপ্রেমী বাঙালি।
[আরও পডুন: হল না সংরক্ষণ, উত্তরপ্রদেশে ভাঙা পড়ল ভারতরত্ন বিসমিল্লা খানের রেওয়াজ ঘর]
The post অমলিন ‘প্রিয় বন্ধু’র আবেগ, নস্ট্যালজিয়া উসকে জনপ্রিয় শ্রুতিনাটক ফেরাচ্ছেন অঞ্জন দত্ত appeared first on Sangbad Pratidin.