অর্ণব আইচ ও গোবিন্দ রায়: কখনও সিআইডি, কখনও আইবি বা আবার কখনও পুলিশ আধিকারিক (Fake Police Officer) সেজে প্রতারণা চালিয়ে গিয়েছে সে। পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে সে। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল সেই প্রতারক। ঘটনাস্থল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের স্বরূপনগর। এদিকে কলকাতার মেটিয়াবুরুজেও ভুয়ো পুলিশ পরিচয় দিয়ে গ্রেপ্তার এক যুবক।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ভুয়ো পুলিশ অফিসারকে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম বাকিবিল্লাহ গাজি। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় নাম পরিচয় বদলে প্রতারণার অভিযোগ আসছিল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। অবশেষে বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[আরও পড়ুন: অসুস্থ হয়ে এসএসকেএমে ভরতি মুকুল রায়, শুভ্রাংশুকে ফোন করে খবর নিলেন মুখ্যমন্ত্রী]
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত গাজি দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা চালাচ্ছিল। ইতিমধ্যে সে ৫০-৬০ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে বলেও খবর। মাস কয়েক আগে দেবকুমার সরকারকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় গাজি। তার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকাও হাতিয়ে নেয় সে। কিন্তু চাকরি মেলেনি। এর পর মাস দুয়েক ধরে সেই টাকা ফেরত দিচ্ছিল গাজি। কিন্তু শেষ মাসে টাকা না পেয়ে স্বরূপনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দেবতকুমার। তারপরই গাজিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে মেটিয়াবুরুজে স্কুটিতে কলকাতা পুলিশের স্টিকার সাঁটিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল জিয়াউল হক। কলকাতা পুলিশের এক ট্রাফিক সার্জেন্টের চোখে পড়ে যায় এই স্কুটিটি। তার পরই তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তার হয় জিয়াউল। তবে খাস কলকাতার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ভুয়ো পুলিশ আধিকারিক পরিচয় দিয়ে এই যুবক কোনও প্রতারণা চক্র চালাত কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।