সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বড়সড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand)। শুক্রবার রাতে রাজ্যের চামোলিতে (Chamoli) নীতি উপত্যকার সুমনা (Sumna) এলাকায় হিমবাহ ধসের (Glacier break) খবর পাওয়া যায়। সেনা সূত্রে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ধসের ফলে দু’টি মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে। দেহ দু’টি উদ্ধার করা হয়েছে। একাধিক ধসের ফলে ৪ থেকে ৫ জায়গার রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। কাল থেকেই যোশিমঠ থেকে ‘বর্ডার রোডস টাস্ক ফোর্স’ এসে ভাপকুণ্ড থেকে সুমনার মধ্যে রাস্তা পরিষ্কার করার কাজ করছে। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ৬-৮ ঘণ্টার মধ্যেই সমস্ত রাস্তা ফের চলাচলের যোগ্য করে তোলা যাবে। এখনও পর্যন্ত ধসের ফলে আটকে পড়া ২৯১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নামানো হয়েছে ৮ ব্যাটেলিয়ন আইটিবিপি সেনা। জোরকদমে চলছে কাজ।
[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় এবার আসরে বায়ুসেনা, অক্সিজেন সরবরাহে নামল মালবাহী বিমান]
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বিআরটিএফ-এর কমান্ডার কর্নেল মণীশ কপিল জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠ ভারত-চিন সীমান্তের কাছে একটি হিমবাহে ফাটল ধরে ধস নামে। গতকাল রাতে হিমবাহে ফাটল ধরে ধসের খবর জানার পরই এলাকায় সতর্কতা জারি করেন উত্তরাখণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী তীরথ সিং রাওয়াত (Tirath Singh Rawat)। একটি টুইটে সেকথা জানিয়ে দেন তিনি। সেই সঙ্গে জানান, তিনি প্রতি মুহূর্তে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
গত ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার তপোবনে হিমাবহ ধসের ঘটনা ঘটেছিল। হড়পা বানে ভেসে যায় ধৌলি গঙ্গা, ঋষিগঙ্গা ও অলোকানন্দা নদী। অন্তত ৭২ জনের প্রাণ গিয়েছিল। দু’মাস যেতে না যেতেই ফের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ভ্রুকুটিতে আশঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। প্রবল তুষারপাতের ফলে প্রান্তিক এলাকাগুলির সঙ্গে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না। তবে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছে। আজ সকালে হেলিকপ্টারে করে ধসের জায়গাটি পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী তীরথ সিং রাওয়াত।