সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার প্রত্যাঘাত হবে কীভাবে, সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বৈঠকে বসল নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে চলছে হাইভোল্টেজ এই বৈঠক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল-সকলেই রয়েছেন সেখানে। সন্ধে ৬টা থেকে শুরু হয়েছে এই বৈঠক।
মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে হামলার খবর পেয়েই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেখানে পৌঁছে যান শাহ। পরের দিন সকালে শ্রীনগরে মৃতদের কফিনে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। বুধবার বিকেলে দিল্লি ফিরেই তিনি পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ৭ লোক কল্যাণ মার্গে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও সেখানে রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অন্তত ৪২টি জঙ্গি ঘাঁটির সন্ধান পেয়েছে ভারত। ওই এলাকা লক্ষ্য করে সেনা হামলা চলছে বলেই খবর। অন্যদিকে, পহেলগাঁওয়ে হামলার জেরে ১৫০০ জনকে আটক করা হয়েছে। ধৃতদের প্রত্যেকেই অতীতে কোনওভাবে জঙ্গি সংগঠন বা হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। আপাতত তাদের জেরা করা হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার হামলা চালানো জঙ্গিরা সেই তালিকায় রয়েছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, মোদির সঙ্গে বৈঠকের কিছুক্ষণ আগেই তিন সেনাপ্রধানদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন রাজনাথ। তারপরেই হুঙ্কার দিয়ে বলেন, কেউ রেহাই পাবে না। শুধু হামলাকারীদের বিরুদ্ধেই নয়, নেপথ্যে থাকা মাস্টার মাইন্ডদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। তাঁর আরও সংযোজন, “ভারতবাসীকে আমি এই বলে আশ্বস্ত করব যে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। আততায়ীরা কিছুক্ষণের মধ্যে খুব জোরাল ও স্পষ্ট জবাব পাবে।” তাহলে কি সরাসরি পাকিস্তানের মাটিতে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জঙ্গিদের উপর আবার হামলা করতে চলেছে ভারত?
