সুব্রত বিশ্বাস: পহেলগাঁওয়ে যেন নরক নেমে এসেছে! জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জন পর্যটকের। তাঁর মধ্যে রয়েছে অতুল মানে নামের সেন্ট্রাল রেলের পারেল ওয়ার্কশপের সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার। স্ত্রী-মেয়ের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে বছর চল্লিশের ইঞ্জিনিয়ার খুন হয়েছেন। ঘটনায় শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তাঁর সহকর্মীরাও।
ছুটি পেয়ে স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে কাশ্মীর ঘুরতে গিয়েছিলেন অতুল। যান 'মিনি সুইৎজারল্যান্ড' নামে পরিচিত পাওয়া পহেলগাঁওয়ের বৈসারনেও। সেখানেই সেনা বা পুলিশের পোশাকের পরে ৭-৮ জঙ্গির দল হামলা চালায়। হামলায় তিনজন বাঙালি-সহ ২৩ জনের মৃত্যু হয়। সেই তালিকায় রয়েছেন অতুল। সেন্ট্রাল রেলের পারেল ওয়ার্কশপের এই সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও ১৮ বছরের মেয়ে।
ওয়ার্কশপের হুইল শপের দায়িত্বে ছিলেন অতুল। কালকা-সিমলা ন্যারোগেজ লাইনের ইঞ্জিন তৈরিতে পটু ওই শপের দায়িত্বপূর্ণ হুইল বিভাগ তাঁরই পরিচালনায় চলতো বলে জানা গিয়েছে। সেন্ট্রাল রেলের সিডব্লুএম পিআর অভয় মিশ্র জানিয়েছেন, "নর্দান রেলের ফিরজপুর ডিভিশন দেহ পাঠানোর ব্যবস্থা করছে।" শপের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজে যুক্ত এই আধিকারিকের এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না মুম্বাইয়ের রেলকর্মচারীরা। সহকর্মীর মৃত্যুতে জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ চাইছেন তাঁরা।
