অর্ণব আইচ: কাঁকুড়গাছিতে (Kankurgachi) বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনার জল গড়িয়েছে আদালতেও। এদিকে, এই ঘটনায় এখনও জারি ধরপাকড়। আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করল নারকেলডাঙা থানার পুলিশ। হুগলির চন্দননগর থেকে পাকড়াও করা হয়েছে ওই অভিযুক্তদের। সব মিলিয়ে এফআইআরে নাম থাকা আটজনের মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হল।
বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2021) ফলপ্রকাশের ঠিক পরেরদিনই খুন হন কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী (BJP Worker) অভিজিৎ সরকার। বছর ত্রিশের বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় মোট আটজনের নামে এফআইআর (FIR) করা হয়। তার মধ্যে আগেই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। শুক্রবার আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করল নারকেলডাঙা থানার পুলিশ। ধৃতেরা হল সঞ্জয় দে এবং অভিজিৎ দে। দু’জনেই নারকেলডাঙার (Narkeldanga) বাসিন্দা। তবে হুগলির চন্দনগরে আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিল তারা। সেখান থেকে ওই দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩২৩, ৩৪১, ৪২৭, ৫০৬ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: শীতলকুচি কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের ৬ CRPF জওয়ানকে তলব করল CID]
উল্লেখ্য, গত ২ জুলাই কাঁকুড়গাছির নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের (Abhijit Sarkar) দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। সেই অনুযায়ী গত ৫ জুলাই দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয় তাঁর। তবে বিজেপি কর্মীর পরিজনরা দাবি করেন, অভিজিৎ সরকারের দেহ প্রায় পুরোপুরি বিকৃত হয়ে গিয়েছে। তাই তাঁকে শনাক্ত করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে (Kolkata High Court) মামলার শুনানিতে একই দাবি করেন মামলাকারীর আইনজীবী। সব দিক খতিয়ে দেখে অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ পরীক্ষার (DNA Test) নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। অভিজিৎ সরকারের দাদার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা সংগ্রহের দায়িত্বে ছিল কলকাতার কম্যান্ড হাসপাতাল। তারপর সেই নমুনা সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর কথাও বলে আদালত। এই পরীক্ষাটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। অভিজিতের দেহ শনাক্ত করার জন্য এই পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরি বলেই মনে করে আদালত।