সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও বিপাকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। এবার তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত প্রকল্প রাওয়ালপিণ্ডি রিং রোড (RRR Project) প্রকল্পেও বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। পাঞ্জাব প্রদেশের সরকারের নির্দেশে শুরু হল তদন্তও। বিরোধীদের অভিযোগ, দুর্নীতিতে জড়িত আছেন পাক প্রধানমন্ত্রীও। ২০১৭ সালের এই প্রকল্পে ১৩০ বিলিয়ন ডলারের দুর্নীতি (Scam) হয়েছে বলে দাবি। ভারতীয় মুদ্রায় যার আর্থিক পরিমাণ প্রায় ৯৫ লক্ষ কোটি টাকা।
দুর্নীতি দমন বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল মহম্মদ গোহরের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠিত হয়েছে। সেই দলে রয়েছেন কয়েকজন আইনজীবী, প্রযুক্তিবিদ এবং অর্থনীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। দুর্নীতি দমন বিভাগের মুখপাত্র জানিয়েছেন, রাওয়ালপিন্ডি রিং রোড দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনা হবে। বিরোধীদের দাবি, এই তথ্য প্রকাশ্যে এলে চাপে পড়বে পাকিস্তানে ক্ষমতাসীন সরকার।
[আরও পড়ুন: নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে মুখ খুলল ভারত, কী জানাল বিদেশমন্ত্রক?]
এই দুর্নীতি ঘিরে উত্তাল পাকিস্তানের রাজনীতি। এমনকী, সে দেশের বিরোধী দলীয় নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পদত্যাগ দাবি করেছেন। তাঁদের অভিযোগ ইমরান এবং তাঁর মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। উল্লেখ্য, এই প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং আরেক মন্ত্রী উসমান বুজদারের মস্তিষ্কপ্রসূত ছিল। সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, নির্ধারিত এলাকার বদলে এই প্রকল্পের রুট বদলে দেওয়া হয়েছে। তাও আবার কিছু সংস্থার ব্যক্তিগত স্বার্থে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কার্যত চাপের মুখে তিনি পাঞ্জাব প্রদেশের গর্ভনরকে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেন। এই দুর্নীতিতে নাম জড়ায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ পরামর্শদাতা জুলফি বুখারির। তার পরই তিনি ইমরান খানের পরামর্শদাতার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এবার তদন্ত শুরু হতে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে না বেরিয়ে পড়ে, উঠছে সেই প্রশ্ন।