সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে শিকড় ছড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। বড়সড় হামলার ছক কষছে জেহাদিরা বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। এই প্রেক্ষাপটে শনিবার দেশের দুই রাজ্যের অন্তত তিরিশটি জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)।
সূত্রের খবর, তামিলনাড়ু ও তেলেঙ্গানার অন্তত তিরিশটি জায়গায় সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে এনআইএ। সেখানে প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছিল ইসলামিক স্টেট। এদিন, কোয়াম্বাটরে ২১টি জায়গায় হানা দেন গোয়েন্দারা। চেন্নাইয়ের তিনটি ও হায়দরাবাদের পাঁচটি ও তেনকাসির এক জায়গায় অভিযান চালায় এনআইএ। বলে রাখা ভালো, ৬ সেপ্টেম্বর ইসলামিক স্টেটের ত্রিচুর মডিউলের প্রধান সৈয়দ নবিল আহমেদকে চেন্নাই থেকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ।
[আরও পড়ুন: বাড়ছে হিন্দুবিদ্বেষ? এবার রামচরিতমানসকে সায়ানাইডের সঙ্গে তুলনা বিহারের মন্ত্রীর]
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, কাশ্মীরে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির জায়গা নিতে চাইছে আইএস (খোরাসন)। বাংলাদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গে জামাত-উল-মুজাহিদিনের হাত ধরে ঢুকে পড়েছে সংগঠনটি। বিশ্লেষকদের সাফ কথা, আইএস শুধুমাত্র একটি সংগঠন নয়। এটি মতাদর্শ। যার উদ্দেশ্য গোটা বিশ্বে শরিয়ত আইন লাগু করে ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠা করা। আর এর জন্য ভারতীয় মহাদেশে প্রস্তুতি শুরু করেছে সংগঠনটি।
সাউথ ব্লকের উদ্বেগ বাড়িয়ে বছর দুয়েক আগে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে রাষ্ট্রসংঘ। সেখানে বলা হয়, ভারতে জেহাদের বিষ ছড়াতে তৈরি কুখ্যাত আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট -খোরাসন (ISIL-K)। ভারত-সহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনটির। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে সক্রিয় ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্কগুলিও সক্রিয়।ইরাক ও সিরিয়ায় জমি খুইয়ে এখন অনেকটাই কোণঠাসা আইএস। তবে এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী সংগঠনটি। তাদের হালকা ভাবে নেওয়া উচিত হবে না।