নন্দন দত্ত ও সৌরভ মাজি: যত সময় এগোচ্ছে, ততই স্পষ্ট হচ্ছে শাসকদলের অন্তর্কলহ। রীতিমতো দল ছাড়ার হিড়িক পড়েছে নেতা-কর্মীদের মধ্যে। এই ভাঙনের মাঝেই মা তারার কাছে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। পুজো দিয়ে প্রার্থনা করলেন ২২৫ টি আসন। পাশাপাশি, বিক্ষুব্ধ কর্মীদের মানভঞ্জনের চেষ্টাও করে চলেছেন বীরভূমের এই দাপুটে তৃণমূল নেতা।
বৃহস্পতিবার সকালে তারাপীঠে যান বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। পুজো দিয়ে বেরিয়ে নাম না করেই শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, “যারা ধান্দাবাজ তারা যাবে। নেতা গেলে কিছু হবে না। কর্মীরাই নেতা তৈরি করে। নেতারা কর্মী তৈরি করে না।” এরপরই জানান, মায়ের কাছে ২২৫ টি আসন চেয়েছেন তিনি। এবং তিনি নিশ্চিত বাংলায় ফের তৃণমূলই সরকার গঠন করবে। জানা গিয়েছে, এদিনই কালনার বিক্ষুব্ধ তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুকে ফোন করেন অনুব্রত। বলেন, “কোথাও যাবি না। দলে তোর মতো ছেলে দরকার।” এদিন সন্ধেয় রাজ্যের মন্ত্রী তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Asish Banerjee) সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তিনি। কী বিষয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, মানভঞ্জনের জন্যই এই বৈঠক।
[আরও পড়ুন: ছেলের বিয়ের ৩ মাসের মাথায় বেয়ানকে নিয়ে পালালেন মুর্শিদাবাদের প্রৌঢ়! ৪দিন পর মিলল হদিশ]
শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল ত্যাগের জল্পনা শুরু হওয়ার পর একে একে অনেক দাপুটে নেতাই দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। শুভেন্দু বিধায়ক পদ ত্যাগের পর এক ধাক্কায় ইস্তফা দিয়েছেন একাধিক নেতা। গুঞ্জন ছড়িয়েছে বীরভূমের দুই মন্ত্রীও দলবদল করতে চলেছেন। তাঁদের মধ্যেই একজন আশিসবাবু। মনে করা হচ্ছে, সেই কথা প্রকাশ্যে আসার কারণেই এদিন মন্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলে অভাব-অভিযোগ শোনেন অনুব্রত। যদিও তৃণমূল ত্যাগের জল্পনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ খোদ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বিশ্বজিৎ কুণ্ডু গতকালই দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে শুভেন্দুর বৈঠকেও ছিলেন তিনি। তাই তাঁকে নিয়েও জারি জল্পনা।