ফারুক আলম, বিধাননগর: স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে অভিযুক্ত রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল বিধানগর আদালত। হাই কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি বিডিও। তারপরই আজ, শুক্রবার আদালতের দ্বারস্থ হয় বিধাননগর পুলিশ। সেই আর্জি মেনে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল আদালত।
২২ ডিসেম্বর দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে বিডিওর আগাম জামিন খারিজ করে কলকাতা হাই কোর্ট। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিধাননগর আদালতে প্রশান্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। কিন্তু আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি বিডিও। উলটে গত বুধবার বিকেল পৌনে ৬টা নাগাদ সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি দায়ের করেন বিডিও। যদিও সে কথা জানে না পুলিশ। এদিকে কলকাতা হাই কোর্টের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় বিডিও প্রশান্ত আত্মসমর্পণ না করায় আদালতে যায় পুলিশ
উল্লেখ্য, স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যা খুনে তাঁর পরিবার বিডিও প্রশান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে ঘটনায় বিডিও যে যুক্ত, সেই সংক্রান্ত একাধিক তথ্য পুলিশের হাতে আসে। বিডিও ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু রাজগঞ্জের ‘বিতর্কিত’ বিডিও প্রশান্ত বর্মনের নাগাল পেতে হিমশিম খেতে হয় কার্যত তদন্তকারীদের। এরমধ্যেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বারাসত আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন প্রশান্ত বর্মন। নিম্ন আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে। পরে বিধানগর মহকুমা আদালতে হাজিরা দিয়ে তা কার্যকর করেন তিনি। এই ঘটনায় পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন হয়।
এরপরই নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। যেখানে অভিযুক্ত প্রশান্ত বর্মনের আগাম জামিনের নির্দেশ খারিজ করার আবেদন জানানো হয়। এই মামলার শুনানিতে এর আগে নিম্ন আদালতের নির্দেশের তীব্র সমালোচনা করে হাই কোর্ট। শুধু তাই নয়, এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। শুনানি শেষে দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে বিডিও প্রশান্ত বর্মনের আগাম জামিনের নির্দেশ খারিজ করে আদালত।
