সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসানসোল থেকে কলকাতা আসছেন অনুব্রত মণ্ডল। আজ দোলের দিনই তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তার আগে বর্ধমানের শক্তিগড়ে প্রাতরাশ সারলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
জানা গিয়েছে, কচুরি, ছোলার ডাল, ল্যাংচা, রাজভোগ সহকারে প্রাতরাশ সেরেছেন অনুব্রত। অনুব্রত যখন শক্তিগড়ের ল্যাংচার দোকানে খাবার খাচ্ছিলেন, তখন তাঁর টেবিলে আরও দু’জন যুবক বসেছিলেন। ওই দু’জনের সঙ্গেই অনুব্রতকে কথা বলতে দেখা যায়। ওই যুবকদের একজন নাকি দোকানের প্রায় হাজার টাকার বিল মেটান। কে ওই যুবক, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। সূত্রের খবর, ওই দুই ব্যক্তির নাম কৃপাময় ঘোষ, তুফান মিদ্দা। প্রথমজন টিএমসিপি নেতা। আর দ্বিতীয়জন অনুব্রতকন্যা সুকন্যার গাড়িচালক। যে দাপুটে অনুব্রতকে দেখতে তাঁরা অভ্যস্ত, দোলের সকালে সেই কেষ্টর সাক্ষাৎ মেলেনি বলে জানাচ্ছেন দোকানের কর্মীরা। তাঁকে মনমরা দেখাচ্ছিল বলে মনে করছেন কর্মীরা।
[আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের মন জয়ের চেষ্টা? বগটুই স্মৃতি উসকে গ্রামে শহিদ বেদি বানাচ্ছে BJP]
এদিকে, প্রাতরাশ সেরেই গাড়িতে উঠে পড়েন অনুব্রত। সঙ্গে সঙ্গেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয় কনভয়। জোকা ইএসআই হাসপাতালে করা হবে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা। ফিট সার্টিফিকেট পাওয়া গেলে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে তুলে দেওয়া হবে ইডি’র হাতে। সেক্ষেত্রে আজ মঙ্গলবার দোলের দিনই দিল্লি নিয়ে যাওয়া হতে পারে তাঁকে। বিচারক সময় দিলে আজই দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টে পেষ করা হবে অনুব্রতকে। এর অন্যথায় তাঁকে ইডির সদরদপ্তরে রাখা হতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের ওই দাপুটে নেতাকে বলে খবর।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ অনুব্রতকে (Anubrata Mandal) সংশোধনাগার থেকে বার করে আনা হয়। আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর আদেশের পরই কেষ্টকে কলকাতার উদ্দেশে নিয়ে আসা হচ্ছে। এদিকে, কেষ্টকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে নিয়ে আসার পরই সেখানে শুদ্ধিকরণ অভিযান শুরু করে বিজেপি।