সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তিতে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অনুব্রতর রক্ষাকবচ বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও বড় পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই (CBI)। নিতে পারবে না নিজেদের হেফাজতে। মঙ্গলবার স্পষ্ট করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে কলকাতা হাই কোর্টের পর শীর্ষ আদালতেও ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে এদিন বিকেলে তৃণমূল নেতার দিদি শিবানী ঘোষের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই।
গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। আপাতত জেলে রয়েছেন তিনি। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় সিবিআই। কিন্তু আরজি মঞ্জুর হয়নি। আদালত জানায়, অনুব্রতকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টও সেই রক্ষাকবচে হস্তক্ষেপ করল না। জানিয়ে দেওয়া হল অনুব্রতকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না সিবিআই।
[আরও পড়ুন: কারও চাকরি বাতিল নয়! প্রাথমিকে ২৬৯ জনের নিয়োগ বাতিলে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের]
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ শুনানি চায় সুপ্রিম কোর্ট। তবে তদন্ত ততদিন নিজের গতিতেই চলবে। যতদিন না পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষ হচ্ছে, ততদিন অনুব্রতর এই রক্ষাকবচ বহাল থাকবে। তাই বলা যায়, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অনুব্রতর রক্ষাকবচের মেয়াদ আরও বাড়ল। কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন দাপুটে এই তৃণমূল নেতা।
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) নজরে তৃণমূলের তারকা বিধায়ক অদিতি মুন্সির (Aditi Munshi) স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তী। একটি খুনের মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল। টানা ২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। সিবিআই দপ্তর থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, “আমাকে পরে ডাকা হলে আবার আসব।”