সৌরভ মাজি, বর্ধমান: আসানসোল আদালতে যাওয়ার পথে শক্তিগড়ে ধাবায় ঢুকলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। ডালপুরি, ঘুঘনি দিয়েই সারলেন প্রাতঃরাশ। শক্তিগড় মানেই নানারকম মিষ্টি-ল্যাংচা, কিন্তু সুগারের কারণে তা খাওয়া হল না ‘কেষ্ট’র!
নিজাম প্যালেস থেকে আসানসোল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের দূরত্ব কম নয়। ফলে সাতসকালেই গরুপাচার মামলায় ধৃত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে আসানসোলের উদ্দেশে রওনা হন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে দশটা। শক্তিগড় পৌঁছয় অনুব্রতদের গাড়ি। সেখানেই একটি ধাবার সামনে দাঁড়ায় গাড়ি। অনুব্রতকে সঙ্গে নিয়েই ধাবার ভিতরে ঢুকে যান তদন্তকারীরা। জানা যায়, সকালে কিছু না খেয়েই বেরিয়েছিলেন অনুব্রত। সেই কারণে তৃণমূল নেতাকে সঙ্গে নিয়ে ধাবায় যান সিবিআই আধিকারিকরা। মিনিট পনেরো পরে সেখান থেকে বেরিয়ে ফের আসানসোল আদালতের উদ্দেশে রওনা হন।
[আরও পড়ুন: বিচারককে হুমকি চিঠি কে পাঠাল? হাসপাতালে যাওয়ার পথে জবাব দিলেন অনুব্রত]
এদিন ধাবায় বেশ হালকা মেজাজেই দেখা গিয়েছে অনুব্রতকে। চেহারায় দুশ্চিন্তার ছাপ ছিল না একেবারেই। ধাবা থেকে বেরতেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কী ছিল প্রাতঃরাশে? জানান, কী কী খেয়েছেন। তবে শক্তিগড়ের ধাবায় গেলেও মিষ্টি খাওয়া হয়নি অনুব্রতর। কারণ, সুগার রয়েছে তাঁর। বর্তমানে কড়া পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ফলে ইচ্ছে থাকলেও মিষ্টি চেখে দেখা হয়নি কেষ্টদার। ওই ধাবার মালিক জানিয়েছেন, এদিন ডালপুরি, ঘুঘনি আর চা খান অনুব্রত। সঙ্গে থাকা ৫ সিবিআই আধিকারিকরাও একই খাবার খেয়েছেন।
এদিকে অনুব্রতর গাড়ি দাঁড়িয়েছে টের পেতেই শক্তিগড়ের ওই ধাবার সামনে ভিড় জমান স্থানীয়রা। কেউ কেউ ছবি তোলেন। তোলেন ‘জয় বাংলা স্লোগান’। তবে সকলেরই উদ্দেশ্যে ছিল অনুব্রতকে একঝলক দেখার। সেখানে উপস্থিত স্থানীয়রা অনেকেই বলেছেন, “কেষ্টদাকে একবার দেখতে এসেছি।” প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় গ্রেপ্তারির পর থেকেই নিজাম প্যালেসে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। আজ অর্থাৎ বুধবার তাকে তোলা হবে আসানসোলের বিশেষ আদালতে।