সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে একাধিক রাইস মিলের খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভোলে ব্যোম রাইস মিলটি ছিল অনুব্রতর প্রয়াত স্ত্রী এবং মেয়ের নামে। সোমবার সকালে শিব শম্ভু রাইস মিলে হানা দেয় সিবিআই ও এফসিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, শিব শম্ভু রাইস মিলটি তাঁর ভগ্নিপতি কমলকান্তি ঘোষের। এছাড়াও বোলপুরের মির্জাপুরে আরও একটি চালকলের খোঁজ মিলেছে। অনুব্রতর ভাগ্নে রাজা ঘোষ নিজেই জানান, ওই চালকলের মালিক তিনি। তাঁর স্ত্রী পারমিতাও এই রাইস মিলের অংশীদার।
সূত্রের খবর, শিব শম্ভু রাইস মিলটি লিজ নেওয়া হয় অনুব্রতর দিদি শিবানী ঘোষের নামে। ডিরেক্টর হিসাবে নাম রয়েছে তাঁর স্বামী কমলকান্তি ঘোষের। তিনি সম্পর্কে দাপুটে তৃণমূল নেতার জামাইবাবু। যদিও কমলকান্তিবাবু রাইস মিলের মালিকানা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। পরিবর্তে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মেজাজ হারান তিনি। নিজেকে ‘সামান্য মানুষ’ হিসাবে দাবি করে বিরক্ত করলে পুলিশ ডাকার হুঁশিয়ারিও দেন ওই ব্যক্তি।
[আরও পড়ুন: কল্যাণী এইমসে বেআইনি নিয়োগ নিয়ে তদন্তে কেন্দ্রের অনুমতি দরকার, CID-কে সতর্ক করল হাই কোর্ট]
এদিকে, অনুব্রতর ভাগ্নে রাজা ঘোষ নিজেই দাবি করেন তিনি মির্জাপুরের মোহনকান্তি রাইস মিলের ডিরেক্টর। তাঁর স্ত্রী পারমিতা ঘোষও ওই ব্যবসার অংশীদার। ২০১১-১৫ সাল পর্যন্ত বীরভূমে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ছিলেন রাজা। সেই সময়ই চাকরি পেয়েছিলেন অনুব্রতকন্যা সুকন্যা। তাঁর নামে আরও নানা সম্পত্তির খোঁজও পাওয়া গিয়েছে। রাজার দাবি, তাঁর বাবা কমলকান্তি যে রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সে বিষয়ে কিছুই জানতেন না। সূত্রের খবর, রাজার সঙ্গে তাঁর বাবা-মায়ের যোগাযোগ তেমন নয়। প্রায় বছরদুয়েক ধরে ছেলে ও বাবার সম্পর্ক ভাল নেই বলেই দাবি। তবে কী কারণে বাবা ও ছেলের সম্পর্কে তিক্ত হয়ে গেল, সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি দু’জনের কেউই।
সময় যত ঘনাচ্ছে রাইস মিল রহস্য যেন ততই জমাট বাঁধছে। সকাল ১০টা থেকে বেলা প্রায় ২টো পর্যন্ত চলে তল্লাশি। সূত্রের খবর, বেশ কিছু নথিও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের নজরে বোলপুরের মোট ১০টি রাইস মিল। গরু পাচারের টাকাতেই কি চলত রাইস মিল, তদন্তের খোঁজে সিবিআই আধিকারিকরা।
দেখুন ভিডিও: