সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: মিলল না স্বস্তি। আরও আড়াই মাস দিল্লির তিহাড় জেলেই থাকতে হবে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। অনুব্রতর জামিনের আবেদনের শুনানি ১০ সপ্তাহ পিছিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে আপাতত 'বীরভূমের বাঘে'র স্বস্তি মেলার কোনও সম্ভাবনা নেই।
২০২২ সালের আগস্ট মাসে বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গরুপাচার মামলায় গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। আসানসোল সিবিআই (CBI) আদালতে প্রথমদিকে এই মামলা চলে। অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোলের সংশোধনাগারেই বন্দি ছিলেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তিহাড় জেলে (Tihar Jail)আপাতত বন্দি দাপুটে তৃণমূল নেতা।
[আরও পড়ুন: ম্যাচ জিতিয়ে সমালোচকদের পাল্টা, স্টেন গান সেলিব্রেশন কোহলির]
দীর্ঘদিন ধরেই জামিনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অনুব্রত। কখনও দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট, কখনও দিল্লি হাই কোর্ট। কিন্তু কোনও আদালতেই স্বস্তি মেলেনি। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টেও আবেদন করেন তিনি। সেই মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। কিন্তু শীর্ষ আদালত ১০ সপ্তাহের জন্য শুনানি স্থগিত করে দিল। জুলাই মাসে ফের মামলার শুনানি হওয়ার কথা। ততদিন তিহাড়ই অনুব্রতর ঠিকানা হতে চলেছে। তৃণমূল নেতার জামিনের আবেদন আগেই নাকচ করে দিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। দিল্লি হাই কোর্টে এখনও একটা মামলা চলছে বটে। তবে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলাকালীন হাই কোর্ট এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না বলেই ধারণা আইনজীবী মহলের।
[আরও পড়ুন: ‘কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরলে ফের তৈরি হবে বাবরি মসজিদ’, বিস্ফোরক হিমন্ত]
আরও আড়াই মাস জেলে থাকতে হবে, যার অর্থ গোটা লোকসভা ভোট (Lok Sabha 2024) পর্বে নিজের জেলায় ফিরতে পারবেন না অনুব্রত। দিন কয়েক আগেই তাঁর জেলায় গিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমে গিয়ে বলে এসেছেন, জেলায় না থেকেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ১০০ শতাংশ রয়েছেন অনুব্রত। আপাতত সেটাই ভরসা 'দাদার অনুগামী'দের।