সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আরজি খারিজ করল দিল্লির রাউস অ্য়াভিনিউ কোর্ট। গ্রেপ্তার পর বহু দিন কেটে গেলেও এখনও চার্জশিট দিতে পারেনি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলে জামিনের আরজি জানিয়েছিলেন গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত। কিন্তু তাঁর সেই আরজি এদিন খারিজ করে দিল দিল্লির আদালত। উল্লেখ্য়, তৃণমূল নেতার গ্রেপ্তারি সংক্রান্ত আরও দুটি মামলা চলছে দিল্লি হাই কোর্টে।
Advertisement
গত বছরের আগস্ট মাসে বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তদন্তে তাঁর নামে ও বেনামে পাহাড় সমান সম্পত্তির খোঁজ মেলে। এরপর ইডি’র নজরে পড়েন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, অনুব্রতকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে জেরা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অনুব্রত ও সুকন্যার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অনুব্রতকে জেরার পর গত ১৭ নভেম্বর গ্রেপ্তার করে ইডি।
[আরও পড়ুন: হিন্দু স্কুলের সরস্বতী পুজোয় ক্যানভাসে মাইকেল মধুসূদন দত্ত, ছাত্রদের তুলিতে মধুকবির জীবন আখ্যান]
তদন্তের স্বার্থে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে দিল্লি (Delhi)নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। সেই মর্মে মামলাও দায়ের হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন, তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে অনেক অজানা তথ্যই বেরিয়ে আসবে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। এর আগে তাঁর জামিনের আরজি খারিজ হয়ে গেল রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে।
বর্তমানে আসানসোলে সংশোধনাগারে রয়েছেন অনুব্রত। আদালতে অনুব্রতর জামিনের আবেদন করেননি আইনজীবী। তবে অনুব্রত মণ্ডলের মালিকাধীন ভোলে ব্যোম রাইস মিলের অ্যাকাউন্ট ডি-ফ্রিজ করার আরজি জানানো হয়। আইনজীবী জানান, অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ থাকার ফলে বিদ্যুতের বকেয়া বিল মেটানো যায়নি। তাই অ্যাকাউন্ট ডি-ফ্রিজ করা হোক। আর না হলে বিদ্যুতের বকেয়া বিল মেটানোর বন্দোবস্ত করুন। বিচারক বলেন, “অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য তদন্তকারীদের দিন। তারপরই ডি-ফ্রিজ করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।”