ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যার প্রাইমারি স্কুলে চাকরি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সুকন্যা নাকি স্কুলে যেতেন না। হাজিরা খাতায় নাকি বাড়িতে বসেই সই করে দিতেন। আর এই বিতর্কের মাঝে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই স্কুলের এক শিক্ষক জানিয়ে দিলেন, ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুব জনপ্রিয় সুকন্যা। স্কুলে না এলে খাতায় সই করতেন কী করে? স্কুলে আসতেন, ক্লাসও করতেন।
বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী মারা গিয়েছেন। পরিবারে এখন একমাত্র মেয়েই সবকিছু কেষ্টর। পেশায় স্কুল শিক্ষিকা সুকন্যা বোলপুরে নিচুপট্টির বাড়িতেই থাকেন। বাড়ি থেকে তিন মিনিটের দূরত্বে স্কুলে চাকরি করেন। তিন বছর আগে স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। হাসিখুশি সুকন্যা পড়ার সবার কাছে খুব জনপ্রিয়। সবার সঙ্গে সে কথা বলতো। কিন্তু মা মারা যাবার সে মানসিক ভাবে ভেঙে পরে। তার পর থেকে সে চুপ করে যায়া।
[আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডল ও আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে টাকার পাহাড়, বাজেয়াপ্ত করল CBI]
বোলপুরের কালিকাপুর প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা সুকন্যা মণ্ডল। মামলাকারীর অভিযোগ, চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর সুকন্যা কোনওদিন স্কুলেই যাননি। বরং স্কুল তার বাড়িতে চলে আসত। অর্থাৎ, হাজিরা খাতায় নাকি বাড়িতে বসেই সই করে দিতেন সুকন্যা। বৃহস্পতিবার যাঁদের আদালতে তলব করা হয়েছে সেই তালিকায় সুকন্যা ছাড়াও রয়েছেন সুমিত মণ্ডল, অর্ক দত্ত, সাত্যকি মণ্ডল, কস্তুরী চৌধুরী, সুজিত বাগদি। এঁরা সকলেই অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, যাঁরা স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
এদিন অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যাকে জেরা করতে বোলপুরের বাড়িতে গিয়েও ফিরে আসতে হয় সিবিআইকে। এখন দেখার বৃহস্পতিবার সুকন্যা-সহ মণ্ডল ও অন্যান্যরা হাই কোর্টে আসে কিনা! এরই মধ্যে টেটে ফেল করার পরও চাকরি পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে চর্চার মধ্যে থানায় গিয়ে পালটা অভিযোগ দায়ের করলেন সুমিতরঞ্জন মণ্ডল। তাঁর দাবি, মিথ্যা অভিযোগে সকরা হচ্ছে তাঁর নামে। তিনি নাকি টেট পরীক্ষায় ফেল করেও চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু তিনি নিয়ম মেনেই পরীক্ষা দিয়ে পাস করে চাকরি পেয়েছেন।