সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপনির্বাচনে ভরাডুবির পর বাংলায় এনআরসি ইস্যুকেই প্রধান কারণ বলে মনে করছে বঙ্গ বিজেপি। তার পাশাপাশি ইভিএম কারচুপিকেও হালকা ভাবে নিচ্ছে না গেরুয়া শিবির। ভোটে জিততে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস যা খুশি করতে পারে বলে মত রাহুল সিনহার। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বর্তমানে কেন্দ্রীয় সম্পাদকের মতে, ইভিএমের সঙ্গেও কারচুপি হতে পারে। শাসকদল ভোটগণনার সময় কারচুপি করতে পারে বলে মন্তব্য বিজেপি নেতার।
লোকসভা নির্বাচনে বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরে মোদি সরকার। তখন বিরোধীরা বারবার ইভিএম কারচুপির অভিযোগে সরব হয়েছিল। কিন্তু এনডিএ শিবির এবং নির্বাচন কমিশন বিরোধীদের অভিযোগ নস্যাৎ করে দেয়। এবার বাংলার তিন বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর ইভিএম কারচুপিকে পক্ষান্তরে দায়ী করছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক। উদ্বেগের কারণ জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ ও খড়গপুর সদর বিধানসভায় প্রচুর ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে লোকসভায় কালিয়াগঞ্জ ও করিমপুরে অনেক বেশি ভোট পেয়েছিল দল। তবুও তিনটি কেন্দ্রে আমরা হেরেছি। খড়গপুর আর কালিয়াগঞ্জে প্রথমবার জিতল তৃণমূল। এই বিষয়গুলিই ভাবিয়ে তুলছে। সংবাদমাধ্যম থেকে সাধারণ মানুষ, প্রত্যেকের একটি বিশ্বাস তৈরি হয়েছিল যে বিজেপি তিনটি আসনেই জিতবে।’
[আরও পড়ুন: পোস্টাল ব্যালটে ৩ কেন্দ্রে জয় বিজেপির, তৃণমূলের কপালে চিন্তার ভাঁজ]
সংবাদ সংস্থা আইএনএসকে রাহুল সিনহা আরও জানিয়েছেন, ‘নির্বাচন কমিশন প্রত্যেকটি ভোটের তত্বাবধানে থাকলেও উপনির্বাচনের দায়িত্বে থাকে রাজ্য সরকার। শাসকদল ভোটে জিততে যা খুশি তাই করতে পারে।’ এবারের উপনির্বাচনে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে জেতার অভিযোগ তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ জানাবেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা।
The post উপনির্বাচনে ভরাডুবি, ইভিএমে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন রাহুল সিনহা appeared first on Sangbad Pratidin.