সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিবছর ধুমধাম করে নিজের বেহালার বাসভবনে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো করেন অপরাজিতা আঢ্য। তবে এবারের পুজোর মরশুমে মনখারাপ অভিনেত্রীর। তাই তো এবার মণ্ডপে গিয়ে ঢাক বাজাননি কিংবা পাড়ার মহিলাদের সঙ্গে সিঁদুর খেলাতেও মেতে উঠতে দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে। শুধু তাই নয়, দশমীর দিনই বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানোর পর সাফ জানিয়ে দিলেন, যে মর্তে রক্তমাংসের লক্ষ্মীদের এত অবমাননা, সেখানে এবার কোজাগরীতে কোনওরকম বিশেষ উদযাপন তিনি করবেন না। নমো নমো করেই লক্ষ্মীপুজো সারবেন অপরাজিতা।
প্রতিবার অপরাজিতা আঢ্যর বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় পাত পেড়ে ভোগ খাওয়ানো হয়। অভিনেত্রী নিজে হাতে প্রতিমা সাজান। ভোগ রাঁধার পুরোভাগে থাকেন। এবারের কোজাগরীতে সবটাই হবে শুধু পুজোর নিয়মমাফিক। তবে আড়ম্বর কিংবা বিশেষ আয়োজনে তিনি নেই। রবিবার সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সাফ জানিয়ে দিলেন অপরাজিত। এদিকে বেহালা জাগরণীর পুজো মানেই অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)। অভিনেত্রীর পাড়ার পুজো। তাই সেই পুজোর সঙ্গে গোড়া থেকেই শামিল থাকেন অপরাজিতা। অষ্টমীর অঞ্জলি থেকে, ভোগ খাওয়া, সিঁদুর খেলা, পাড়ার পুজোতেই চারদিন মহাসমারোহে কেটে যায় তাঁর। তবে এবারের পুজোটা অন্যরকম ভাবে কাটালেন দর্শক-অনুরাগীদের প্রিয় 'অপাদি'।
এবার অস্থির পরিস্থিতির মাঝেই উমা এসেছিলেন। কেউ মণ্ডপে গিয়ে পুজো দেখেছেন আবার কেউ বা অনশনকারী ডাক্তারদের সঙ্গে রাত জেগে। কিন্তিু ঘরের মেয়ে ঘরে এলে তাঁকে বরণ তো করতেই হয়। তাই নিয়ম মেনেই বেহালা জাগরণীর পুজোয় যোগ দিয়েছিলেন অপরাজিতা আঢ্য।
তবে এবার আর পাড়ার পুজোয় সিঁদুর খেললেন না তিনি। কিন্তু কেন?
সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে প্রতিবারের মতো বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঠিকই, তবে অন্যান্য বারের মতো সিঁদুরখেলা, ঢাক বাজানো বাজানো থেকে বিরত থেকেছেন অপরাজিতা। সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিনেত্রী জানান, প্রত্যেকবার মণ্ডপে গিয়ে আনন্দ করি, ঢাক বাজাই, এবার কোনওটাই করিনি। যেদিন বেহালা জাগরণীর পুজোয় হোমযজ্ঞ হয়েছিল, সেদিনই গিয়েছিলাম। পাড়ার কেউ এবার সিঁদুর খেলায় মাতেননি। প্রতিমা বিসর্জনে প্রতিবার পাড়ার মহিলারাই নাচ করেন। এবার সেসব কিছু হচ্ছে না। যথাযথ নিয়ম মেনে পুজো করাটা দায়িত্ব, সেটাই করা হয়েছে। তার বাইরে কোনও আড়ম্বরে যাইনি আমরা।