সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর হিসেবে চেনে গোটা বিশ্ব। কিন্তু, তাদের প্রিয় বন্ধু চিনও যে বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে লিপ্ত রয়েছে তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ পাওয়া গেল। জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে গ্রেপ্তার হল চিনের ১০ জন গুপ্তচর। এর জেরে বেজিংকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেছে আফগানিস্তান প্রশাসন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, কিছুদিন ধরেই কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে আফগানিস্তানে থাকা চিনের কয়েকজন নাগরিক যোগাযোগ রাখছিল বলে অভিযোগ উঠছিল। এর জেরে গত ১০ ডিসেম্বর থেকে তদন্ত শুরু করেছিল আফগানিস্তানের ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট অফ সিকিউরিটি (NDS)। এরপরই তদন্তকারীরা জানতে পারেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে তালিবানরা যখন আমেরিকার সঙ্গে শান্তি চুক্তি সই করছিল তখন থেকেই আফগানিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করতে থাকে চিনের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। যোগাযোগ গড়ে তোলে হাক্কানি নেটওয়ার্কের (Haqqani Network) মদতে চলা দুটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে। মার্কিনি সেনারা আফগানিস্তান (Afghanistan) ছাড়তে শুরু করার পর থেকেই সেখানে নিজের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে বেজিং। আর এই জন্যই হাক্কানি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তালিবান জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছিল।
[আরও পড়ুন: ফের নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের খুনে অভিযুক্ত মার্কিন পুলিশ! প্রতিবাদের ঢেউ আমেরিকায় ]
তবে এখন ১০ জন চিনা গুপ্তচরকে আফগানিস্তানের প্রশাসন গ্রেপ্তার করায় প্রবল অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে শি জিনপিংয়ের সরকার। তাই আশরাফ গনির সরকারকে বুঝিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। যদিও তাতে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট রাজি হচ্ছেন না বলে জানা গিয়েছে। তার বদলে আফগানিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার প্রাক্তন প্রধান ও প্রথম উপরাষ্ট্রপতি অমরুল্লাহ সালেহকে কাবুলে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করতে বলেছিলেন তিনি। সেই বৈঠকে অমরুল্লাহ সালেহ চিনে বার্তা দিয়েছে এই ধরনের ঘটনার জন্য চিনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে ধৃত চিনা গুপ্তচরদের ছাড়বে না কাবুল। বরং তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে।