গোবিন্দ রায়: রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে শেষ সুযোগ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে তিনটের মধ্যে সিবিআই (CBI) দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ। ফের হাজিরা এড়ালে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় শিক্ষাদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikari)। অভিযোগ, মেধা তালিকায় না থেকেও মন্ত্রীর মেয়ে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। ববিতা সরকার নামে এক পরীক্ষার্থী মামলা করেছিলেন। ববিতার দাবি, তাঁর চেয়ে নম্বর কম ছিল মন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। তারপরেও নিয়োগপত্র হাতে পাননি ববিতা। অথচ ২০১৮ সালের মেখলিগঞ্জের একটি স্কুলে চাকরি করছেন অঙ্কিতা। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থী ববিতা। সেই মামলাতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
[আরও পড়ুন: ঘনঘন বান্ধবী বদল, অনিয়ন্ত্রিত যৌন লালসায় সর্বনাশ পল্লবীর প্রেমিক সাগ্নিকের, মত মনোবিদদের]
এসএসসি মামলায় রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যে সিবিআই দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার হাই কোর্টের নির্দেশ পেয়ে মন্ত্রীকে ফোন করেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। তিনবার ফোন করে সুইচড অফ পাওয়ায় যোগাযোগ করতে পারেননি। ফলে পৌনে আটটা নাগাদ মন্ত্রীকে ই-মেলে নির্দেশ দেওয়া হয় রাত আটটার মধ্যে হাজির হতে হবে তাঁকে। যদিও মন্ত্রীর তরফে কোনওরকম উত্তর বা ই-মেলে অসুবিধার কথা জানানো হয়নি। মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর জন্য নিজাম প্যালেসে রাতেও অপেক্ষায় ছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু তিনি সেখানে পৌঁছননি।
একপ্রকার রহস্য বাড়িয়ে ‘উধাও’ই হয়ে যান তিনি। বুধবার সকালে শিয়ালদহ না নেমে কি অন্য কোথাও নামলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, তিনি হয়তো বর্ধমান স্টেশনে নেমে পড়েন। সড়কপথে আসতে পারেন। তবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেননি পরেশ অধিকারী। এবার শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন বিচারপতি। দুপুর সাড়ে তিনটের মধ্যে আদৌ পরেশবাবু সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেন কিনা, সেদিকেই নজর সকলের।