shono
Advertisement

ফের যুদ্ধে জড়াল আর্মেনিয়া-আজারবাইজান, রক্তাক্ত নাগর্নো-কারাবাখ, মৃত অন্তত ৪৯

২০২০ সালের পরে এটাই দুই দেশের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বলে মনে করা হচ্ছে।
Posted: 02:36 PM Sep 13, 2022Updated: 02:36 PM Sep 13, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন সংঘাতের আবহে ফের যুদ্ধে জড়াল আর্মেনিয়া (Armenia) ও আজারবাইজান (Azerbaijan)। বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের (Nagorno-Karabakh) দখল নিয়ে আবারও লড়াই শুরু করেছে দুই দেশের সেনাবাহিনী বলে খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে। মঙ্গলবারই আর্মেনিয়ার তরফে জানানো হয়েছে তাদের অন্তত ৪৯ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে সংঘর্ষে। ২০২০ সালের পরে এটাই দুই দেশের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান সেদেশের পার্লামেন্টে জানিয়েছেন, ”শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৯ জন সেনা নিহত হয়েছেন। দুর্ভাগ্যবশত এটাই চূড়ান্ত সংখ্যা নয়।” তিনি জানিয়েছেন, সারা রাত ধরে লাগাতার বোমাবর্ষণ করে চলেছে আজারবাইজান। বিশ্বনেতাদের কাছে আজারবাইজানের হামলার মোকাবিলা করার জন্য সাহায্যও প্রার্থনা করেছেন নিকোল।

[আরও পড়ুন: ‘আমার শরীর স্পর্শ করবেন না’, নবান্ন অভিযানে মহিলা পুলিশ দেখে নিজেই গাড়িতে উঠলেন শুভেন্দু]

গত মাসেই বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি উঁচু জায়গা দখল করে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। পালটা হামলা চালাতে শুরু করে আর্মেনিয়ার ফৌজও। সেই থেকেই মাঝে মাঝেই দুই দেশের সেনার সংঘর্ষে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আগেই এই সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। এক বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশ দপ্তর দুই পক্ষের কাছেই লড়াই থামিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খোঁজার আবেদন জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া দুই দেশই সোভিয়েত ইউনিয়নের সদস্য ছিল। নব্বইয়ের দশকে সোভিয়েতের পতনের পরই সীমান্ত সংঘাত শুরু হয় তাদের মধ্যে। ওই সময় আর্মেনিয়ার মদতে আজারবাইজান থেকে আলাদা হয়ে যায় নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল। ২০২০ সালে এই বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে যুদ্ধে জড়ায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। মৃত্যু হয় কয়েক হাজার সেনার। দু’পক্ষের কাছে জয় অধরা থাকলেও নাগর্নো-কারাবাখের বেশকিছু জায়গা ফের দখল করতে সক্ষম হয় আজারবাইজানের সেনা। তবে রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় দুই দেশই। চুক্তি মোতাবেক বর্তমানে বিতর্কিত অঞ্চলটিতে মোতায়েন রয়েছে রুশ শান্তিরক্ষী বাহিনী।

[আরও পড়ুন: ‘আমার শরীর স্পর্শ করবেন না’, নবান্ন অভিযানে মহিলা পুলিশ দেখে নিজেই গাড়িতে উঠলেন শুভেন্দু]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement